মোংলায় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে বাড়ির মালিক ও নারী সহ আটক-২

মাসুদ রানা, মোংলা

আপডেট : ০৫:৫৯ পিএম, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪ | ২৯১

মোংলায় নিজ বাড়িতে মিনি পতিতালয় তৈরী করে বিভিন্ন এলাকা থেকে উঠতি বয়সী নারীদের দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও নামী-দামী মানুষদের জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে এক বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভোররাতে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মালিক শাহ আলম, তার স্ত্রী আমেনা ও অন্য এক যুবতী নারীকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় অন্যান্য নারী-পুরুষরা কৌশলে গোপন পথ দিয়ে পালিয়ে গেলে তাদের আটক করা সম্ভব হয়নী। শনিবার দুপুরে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।


পুলিশ জানায়, মোংলা উপজেলার দ্বিগরাজ, পৌর শহরের কলেজ রোড়, বাদামতলা, বটতলা, ময়লাপোতা, মনপুরা ও মাছমারার নারকেলতলা এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে মিনি পতিতালয় তৈরী করে দুর-দুরন্ত থেকে নারীদের এনে অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদক বেচা-কেনা ও উঠতি বয়সী যুবক-যবতীদের নিয়ে মাদকসেবীদের আকড়া বসে এমন গোপন সংবাদ আসে মোংলা থানা পুলিশের কাছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে পৌর শহরের কলেজ রোড এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালায় মোংলা থানার ওসি তদন্ত হিরন্ময় সরকার সহ একদল পুলিশ বলে জানিয়েছে থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আজিজুল ইসলাম। ওই সময় বাড়িতে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ অবস্থান করছিলেন। ভোর রাতে পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে গোপন পথ দিয়ে অন্যান্য নারী-পুরুষরা পালিয়ে গেলেও বাড়ির মালিক মোঃ শাহ আলম, তার স্ত্রী আমেনা বেগম ও রামপাল উপজেলার বাশতলী গ্রামের ২০ বছর বয়সের এক নারীকে আটক করা হয়। তবে শাহ আলমের স্ত্রী আমেনা বেগমের কোলে শিশু সন্তান থাকায় মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর স্বামী শাহ আলম ও ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে মোংলা থানার পুলিশ। শনিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে নারী-পুরুষ দ্বারা অসামাজিক কার্যকলা পরিচালনার অভিযোগে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় ওসি তদন্ত হিরন্ময় সরকার।


মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, পৌর শহরের বেশ কয়েকটি বাড়িতে এমন অসামাজিক কার্যকলাপ চলে যা পুলিশের কাছে অভিযোগ রয়েছে। এর সাথে মোংলা শহর এলাকার বেশ কিছু নামী-দামী লোকও জড়িত সে তথ্য উপাত্ত পুলিশ জানে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মোংলা থানার ননএফআইআর (প্রসিকিউশন) দাখিল করা হয়েছে। উপজেলার শহর ও ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি এলাকায় এমন অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান ওসি৷


উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলেজ রোড, বটতলা, বাদামতলা, হাসপাতালে পিছনে বাস ষ্টান্ড, মনপুরা এলাকা, মাছমারা রোড, দ্বিগরাজের আপা বাড়ি, কানাইনগর ছাড়াও শহরের কয়েকটি বাড়িতে ভাড়া রুম নিয়ে এমন অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে অহরাহ। এছাড়া শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলেও এমন ঘটনা ঘটছে। শহলের অলী-গলীতে মাদকের বেচা-কেনা ও সেবনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতের অন্ধকারে ভাসমান পতিতা, খদ্দের ও দালালদের উৎপাতে অতিষ্ঠ স্থানীয় জামে মসজিদের মুসল্লীরাও। তাই এসব কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন স্থানীয়রা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত