মোংলায় বেঙ্গল এলপিজি গ্যাসবাহি গাড়ীতে আগুন, ফায়ার প্রচেষ্টায় সাড়ে ৮ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রনে

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ১২:২৬ এএম, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৫১০

মোংলা বন্দরের শিল্প এলাকায় বেঙ্গল এলপিজি গ্যাস কারখানার মধ্যে গ্যাসবহনকারী ক্যাপসুল গাড়ীতে গ্যাস লিকেজ হয়ে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। তবে খুব সহজে আগুন নিয়ন্ত্রন করতে না পারলেও ওই গ্যাসের কারখানায় যেন আগুন ছড়িয়ে পড়তে না পারে এজন্য পানি দিয়ে কটোন করে রাতভর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের সদস্যরা। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে গ্যাস বোঝাই ক্যাপসুল গাড়ী থেকে গ্যাস শেষ হলে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।

ফায়ার সার্ভিস বাগেরহাট জেলার সহকারী উপ-পরিচালক( ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সাহাবুদ্দিন জানায়, বুধবার (১১ অক্টোবর) প্রায় ১১ হাজার লিটার এলপিজি গ্যাস বহনকরে ক্যাপসুল গাড়ীটি মোংলা কারখানা থেকে বের হয়ে ঢাকার উদ্দ্যেশে রওয়ানা হয়। কিছু দুর গেলে গাড়ীর চালক গাড়ী থেকে গ্যাস বের হওয়ার গন্ধপান তিনি। তখন এলপিজি গ্যাস কারখানার কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে গাড়ীটি আবার বেঙ্গল কারখানায় ফেরত আসে। এর পর গাড়ীতে থাকা দ্রুত গ্যাস খালী করতে সিলিন্ডার বোতলজাত করনের সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে হঠাৎ আগুন লেগেযায়।
এর পর কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ফায়ার সাভির্সকে জানালে একে একে ফায়ার সার্ভিসে ৭টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন আরো জানান, শুরু থেকে আগুন কারখানার অন্য দিকে যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য পানি দিয়ে কটোন করে রাখা হয়েছে।
পরে যেহেতু গাড়ীর নীচে লিগেজ তাই ধীরে ধীরে গ্যাস বেরিয়ে আসছে, আর ওই গ্যাস পুড়ে শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করছিলাম, আর সে সময় পর্যন্ত আগুন জ্বলতে ছিল। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে গ্যাস পুরে যাওয়া আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। তবে আগুন লাগার ঘটনায় কোন আহত বা নিহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে বেঙ্গল এলপিজির মধ্যে আগুন লাগার ঘটনায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে মোংলার শিল্পাঞ্চলের অন্যন্য শিল্পকারখানার দায়িত্বরতদের মধ্যে।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত