ইউপি সদস্যকে মারধর, মামলার বাদি ও স্বাক্ষীদের হুমকি আসামীদের

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ১০:২৬ পিএম, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | ৫১২

কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিমকে মারধরের মামলায় আসামীরা জামিনে মুক্ত হয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হামলার প্রতিবাদ ও আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে আহতের পরিবার। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আহত ইউপি সদস্যের নিকট আত্মীয় লুৎফর রহমান বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময়, মামলার স্বাক্ষী লুৎফর রহমান, মিলন শেখ, রুহুল শেখ, শাওন শেখ, আঃ রহিম খান, শুকুর আলী খান, আসাদুজ্জামান, আহত রেজাউল করিমের শ্বশুর শেখ সেলিম উপস্থিত ছিলেন।


লুৎফর রহমান বলেন, গেল ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কামারগাতি এলাকা থেকে হেটে যাওয়ার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্থানীয় হুমায়ুন মোল্লা, শাহাজান শেখ, নাসরুল্লা, মাসুদ হাওলাদার, রাজু মোল্লাসহ ২০-২১ জন আমার চাচার উপর হামলা করে। তাদের হাতে থাকা রাম দায়ের কোপ ও পিটুনিতে আমার চাচা গুরুত্বর আহত হয়। এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আমার চাচা রেজাউল করিমকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা চাচাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চাচা এখনও মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছে।


পরবর্তীতে এই ঘটনায় হুমায়ুন মোল্লাসহ ২১ জনকে আসামী করে কুচয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন চাচা। ওই মামলায় এজাহার নামীয় ২১ আসামীর মধ্যে সোহেল নামের এক আসামী কারাগারে রয়েছে। অন্য আসামীরা জামিনে থেকে আমাদের পরিবার ও মামলার স্বাক্ষীদের হুমকী-ধামকি দিচ্ছেন। মামলা তুলে না নিলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। স্বাক্ষীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাক্ষী না দেওয়ার জন্য শাষাচ্ছেন। স্বাক্ষী দিলে পরিনতি রেজাউল করিমের মত হবে এমন কথাও বলছেন তারা। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ প্রশাসন ও বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ কামনা করেন লুৎফর রহমান।


লুৎফর আরও বলেন, হুমায়ুন মোল্লাসহ আসামীরা ধোপাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক জামায়াত নেতা মোঃ মকবুল হোসেনের ছত্রছায়ায় এলাকায় নানা অন্যায় অবিচার করে বেড়াচ্ছে। এর আগে আসামীরা ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হাজরাসহ অনেককে মারধর করেছে। চেয়ারম্যানের ক্ষমতার কারণে আসামীরা পার পেয়ে যায়।


লুৎফরের অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান মোঃ মকবুল হোসেন বলেন, রেজাউল করিম বিভিন্ন সময় এলাকার অনেককে মারধর করেছেন। এছাড়াও রেজাউলের সাথে অনেক নারীদের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সেসব লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে রেজাউলের উপর হামলা করতে পারে। আমি এই হামলার বিষয়ে কিছু জানি না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত