মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর যন্ত্রাংশ

মাসুদ রানা, মোংলা 

আপডেট : ০৯:৫৮ পিএম, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ৩৯২

পণ্য বোঝাই হংকং পতাকাবাহী “এমভি স্প্রিং শাইন” বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের যন্ত্রাংশের একটি বড় চালান নিয়ে মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করেছে বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ। মঙ্গলবার ৬ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে পণ্য খালাসের জন্য মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটি এলাকায় নোঙ্গর করে এ জাহাজটি। রেলওয়ের পণ্য নিয়ে গত ২৪ নভেম্বর জাহাজটি ছেড়ে আসে যা মোংলা বন্দরে পৌছাতে ১৪ দিন সময় লেগেছে।

বন্দর সুত্র জানায়, বন্দর উন্নয়ন, অগ্রগতি আর আমদানী-রপ্তানী পণ্য খালাস দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে মোংলা সমুদ্র বন্দর, দিনে দিনে জাহাজ আগমনের সংখ্যা বাড়ছে, বৃদ্ধি পাবে রাজস্বও। রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ ও মেট্ট্রোরেলের পণ্য খালাসের পর এবার বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পণ্য খালাসের জন্য প্রথম চালানের যন্ত্রাংশ নিয়ে জাহাজ এসেছে মোংলা বন্দরে। ভিয়েতনাম’র হাইফং বন্দর থেকে গত ২৪ নভেম্বর ছেড়ে আসা জাহাজটি ১৪ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সাগর মোহনা ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় পৌছায়। এ জাহাজে ১৬৬টি প্যাকেজ রয়েছে। বন্দরের নিজস্ব পাইলটের মাধ্যমে জাহাজটি দুপুরে এসে পণ্য খালাসের জন্য বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়ে। বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নতুন নির্মান প্রকল্পের যন্ত্রাংশ নিয়ে মোংলা বন্দরে আসা আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হক এন্ড সন্স এর এটি ৪র্থ জাহাজ। এ সেতুর জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানী করা সকল পণ্য খালাস হবে মোংলা সমুদ্র বন্দর দিয়ে বলে জানায় জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজন্ট মেসার্স হক এন্ড সন্স’র প্রতিনিধি।

এ জাহাজে করে ১৬৬টি প্যাকেজে মোট ১ হাজার ৬শ ১৭.৫৮২ মেঃ টন যন্ত্রাংশের মধ্যে স্টিল ট্রাকচার সহ বিভিন্ন প্রকারের মেশিনারিজ পণ্য রয়েছে। যা মোংলা পণ্য খালাসকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বি এন্ড এম রহমান কোম্পানী লিঃ এর দক্ষ শ্রমিক দিয়ে পণ্যগুলো বার্জে খালাস করা হচ্ছে। পরে নেয়া হবে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মান স্থানে। এ পণ্যগুলো নদী পথে পৌছাতে সময় লাগবে ৮/১০ দিন বলেও জানায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হক এন্ড সন্স এর প্রতিনিধি মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, জাহাজটিতে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর এক হাজার ৬১৭ মেঃ টন পণ্য রয়েছে যা মঙ্গলবার রাতের পালা থেকে খালাস কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে এবং এখনও চলমান রয়েছে পণ্য খালাসের কাজ। রেল সেতুর জন্য আনা এ পণ্যগুলো খালাস করতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে। আর খালাসকৃত পণ্য প্রথমে বার্জে রাখা হবে, পরে নদী পথে নিয়ে সংযুক্ত করা হবে ঢাকার নতুন নির্মানাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলওয়ে সেতুতে।

২০২০ সালে শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাজ ২০২৫ সালে ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। যার সর্ব শেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত