রামপালে দম্পতিকে মারপিট থানায় জিডি

রামপাল প্রতিনিধি

আপডেট : ০৮:৫৪ পিএম, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৭২৫

প্রতিকী ছবি
রামপালে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে এক দম্পত্তিকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিরাপত্তা চেয়ে ওই দম্পত্তির স্ত্রী কনিকা হালদার রামপাল থানায় একটি লিখিত সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যার নং ১৪৬।
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উজড়কুড় ইউনিয়নের মিরাখালী গ্রামের নিতাই পালের ছেলে বনমালী পালের সাথে ভাগা বেতকাটা গ্রামের কনিকা হালদার ও তার স্বামী মনজিৎ রায়ের দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ৩ আগস্ট বিকেলে ভাগা বাজার এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার সময় ওই দম্পতিকে গতিরোধ করে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বনমালী পাল পাশে পড়ে থাকা কাঠের চলা দিয়ে আচমকা তাদের বেধড়ক মারপিঠ শুরু করে। গুরুতর আহত কনিকা হালদারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এই বিষয় নিয়ে মামলা বা কাউকে জানালে জীবনের ক্ষতি করা হবে।
সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে ওই দম্পতি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বনমালী পাল কনিকাকে বিভিন্ন ভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। বিষয়টি একাধিকবার তাকে সতর্ক করলেও সে কোনো কর্ণপাত করেনি বরং আরো বেপরোয়া হয়ে কনিকাকে হয়রানি করতে থাকে। তারা আরো অভিযোগ করেন, মারপিটের ওই দিন কাছে থাকা মনজিৎদের জমি বিক্রির দুই লক্ষ টাকা ও তার স্ত্রীর গলার স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৪৪ হাজার টাকা। এসময় বনমালীর সহযোগী উজড়কুড় ইউনিয়নের ভূইয়ার কান্দন গ্রামের সেলিম শেখ তার সাথে ছিলো।
এবিষয়ে বনমালীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পরিস্থিতির স্বীকার। আমি কাঁচামালের ব্যাবসা করি। আমার বিরুদ্ধে মারপিট, টাকা কেড়ে নেওয়া ও স্বর্নের চেইন নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট তবে মনজিতের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছিলো। আমার মা একজন ক্যান্সারের রোগী। ইতিমধ্যে মায়ের চিকিৎসায় ৬/৭ লক্ষ টাকা ব্যায় হয়েছে। আমি এখন নিঃশ্ব। আমার বিরুদ্ধে এভাবে মিথ্যা অভিযোগ দিলে আমার কোনো কিছু বলার নেই।
এবিষয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত