ভোররাতে জমি দখলে হামলা, ৯৯৯ এ ফোন, আটক ১২

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ১১:২০ পিএম, শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০২২ | ২৮৮

বাগেরহাটে জমি দখলে নিতে ভোররাতে সুশান্ত দাস (৩৮) নামের এক শিক্ষকের বাড়িতে সংঘবদ্ধ হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) ভোর পাঁচটার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের ফুলতলা পশ্চিমপাড়া গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। জীবন বাঁচাতে ওই শিক্ষক ৯৯৯ এ ফোন করেন। এছাড়া হামলার শিকার শিক্ষক পরিবারের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হামলাকারীদের মধ্যে ১২ জনকে আটক করে। পরবর্তী ওই শিক্ষকের মামলায় পুলিশ ১২ জনকে গ্রেফতার করে।


হামলাকারীদের মারধরে সুশান্ত দাস, তার সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী কনিকা দাস (২৮), ভাই বিশ্বজিত দাস ও শুকদেব দাস, নিকট আত্মীয় রিংকি দাস আহত আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সুশান্ত দাস ও কনিকা দাস বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে রয়েছেন।

হামলার শিকার সুশান্ত দাস ফুলতলা পশ্চিমপাড়া গ্রামে অনিল চন্দ্র দাসের ছেলে। আনার ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।


আটককৃতরা হলেন, আছাদুজ্জামান ওরফে টিপু হাওলাদার (৪৫), বেনজীর আহমেদ (৪৯), ফেরদাউস হাওলাদার (৩৩), নুর নবী (২১), হাফিজ হাওলাদার (৪০), আবু হানিফ খান (৩৬), মোঃ সাকিব ফকির (২০), সাফায়েত মোল্লা (৪১), মাহতাব খান (২৩), আব্দুল গাফফার শেখ (৪৪), মোতালেব খান (৬০), শামীম শেখ (১৯) আসামীদের বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়া ও বাগেরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

আহত শিক্ষক সুশান্ত দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই বাড়িতে বসবাস করে আসছি। কিন্তু আছাদুজ্জামান ওরফে টিপু হাওলাদার কয়েক বছর ধরে আমাকে জমি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা চালায়। এর অংশ হিসেবে ২০১৬ সালে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুন্যালে রেকর্ড সংশধনের মামলা করেন। সেই মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু ভোররাতে হঠাৎ করে আছাদুজ্জামান ওরফে টিপু হাওলাদারের নেতৃত্বে ১৯-২০ জনের একটি দল আমাদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমি, আমার স্ত্রীসহ পাঁচ জন আহত হয়েছি। হামলাকারীরা ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্নালঙ্কার ও বেশকিছু মূল্যবান মালামাল নিয়ে যাই। আমি এই হামলার বিচার চাই।


আছাদুজ্জামান কেন জমি দাবি করে এমন প্রশ্নে সুশান্ত দাস বলেন, সদর উপজেলার চুলকাঠি এলাকার বাসিন্দা আমার মামা মৃত অরুন দে নাকি তাকে আমাদের ৫৫ শতক জমির পাওয়ার দিয়ে গেছেন। সেই কারণে আছাদুজ্জামান এই জমি দাবি করেন। কিন্তু আমার বসত বাড়ির মধ্যে মামা অরুণ দে‘র কোন জমি নেই। তাই পাওয়ার দেওয়ার কোন প্রশ্ন আসে না।


বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে অভিযান চালিয়ে আমরা ১২জনকে আটক করেছি। এই হামলার ঘটনায় ওই শিক্ষক আটক ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত