সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্টগার্ডের অভিযান

মাসুদ রানা,মোংলা

আপডেট : ১২:০৮ এএম, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২ | ৪৯৪

সরকারী নির্দেশনায় বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্রে মাছ ধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে উপকুল রক্ষী বাহিনী মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন। বঙ্গোপসাগর, হিরোণপয়েন্ট ও সাগর সংলগ্ন সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খাল এলাকায় চলছে সাঁড়াশি অভিযান। তবে কোস্টগার্ডের এই অভিযানের মুখে সাগরগামী মাছ ধরা নৌকা বা ট্রলার এখন পর্যন্ত চোখে পরছেনা। তাই ইলিশসহ ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের প্রজনন, ডিম ছারা, বংশবৃদ্ধি ও সংরক্ষনে মোংলা বন্দরের কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরের পক্ষে পৃথক কয়েকটি টিমের সমন্নয় এ অভিযান চালানো হয়েছে।


কোস্টগার্ড সুত্রে জানায়, প্রতি বছরের মে মাসের শেষের দিক থেকে শুরু করে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত মাছের প্রজনন মৌশুম। তাই সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ রক্ষার লক্ষে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবন ও সাগর সমুদ্রে মৎস্য আহরন ৬৫ দিনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে সরকার। এছাড়াও, পার্শবর্তী দেশ ভারত, শ্রীলংঙ্কা, মিয়ানমার ও চীনসহ সমুদ্র উপকুলীয় দেশ সমুহে চলছে সাগর মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা।


২০ মে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে যা চলবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। সরকারের এই নির্দেশনা পালনে ২৩ মে (সোমবার) থেকে সমুদ্রের উপকুল জুড়ে অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোন সদস্যরা। প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছ রক্ষায় ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা। তাই দিনভর এভাবে টহলরত জাহাজ দিয়ে বিভিন্ন নদী এবং সাগরের অংশ চষে বেড়াচ্ছে কোস্ট গার্ড সদস্যরা। এছাড়া নদী ও উপক’লীয় এলাকায় থাকা মাছ ধরা নৌকা এবং ট্রলাল দেখলেই দেয়া হচ্ছে বাধা। নিষেধাজ্ঞার ঘোষনা জানিয়ে মাইকিং এবং লিফলেটও বিতরন করা হয়েছে।

২০ মে থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশী সমুদ্র থেকে মাছ এসে সুন্দরবনে অভয়ারন্য এলাকায় আশ্রয় নেয়া মাছ বিষ দিয়ে নিধন করার বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত থাকবে। একই সাথে জেলেদের সরকারী সহায়তা পৌছে দিতে কোস্টগার্ড নানা কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপটেন মোহাম্মদ মোসায়েদ হোসেন।


২০ মে থেকে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত। আর এসময় মোংলা উপজেলার নিবন্ধিত প্রায় সাড়ে ১১শ জেলেদের দুই ধাপে দেয়া হবে ৮৬ কেজি চাল ও বিভিন্ন সরকারী প্রনোদনা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত