অতি বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের বীজ ধান সরবরাহ

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৮:৩১ পিএম, সোমবার, ৯ আগস্ট ২০২১ | ৪১২

শরণখোলায় অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের নতুন করে বীজতলা তৈরীর জন্য চার মেট্রিক টন বীজ ধান সরবরাহ করেছে কৃষি বিভাগ। সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিলারের কাছ থেকে এই বীজ ধান সংগ্রহ করছেন চাষিরা। বিশেষ ব্যবস্থায় সাতক্ষীরা ও যশোর থেকে এই বীজ সংগ্রহ করে উপজেলা কৃষি বিভাগ। বিএডিসির ডিলারের মাধ্যমে তা চাষিদের বিতরণ করা হয়।

সম্প্রতি অতিবর্ষণে শরণখোলায় যে পরিমান বীজতলা নষ্ট হয়েছে, সে তুলনায় সরবরাহকৃত বীজ খুবই সামান্য বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে সোমবার (৯আগস্ট) দুপুরের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া চার টন বীজ শেষ হয়ে যায়। ফলে, বীজ না পেয়ে হতাশ হয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে দেখা গেছে অনেক চাষীকে।

বীজ ধান কিনতে আসা উপজেলার রাজৈর গ্রামের চাষি রুস্তম আলী হাওলাদার বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে জানান, তিনি এক মন ধানের বীজতলা করেছিলেন। জলাবদ্ধতায় তা সম্পূর্ণই নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু এখন যে বীজ পেয়েছেন তা দিয়ে চাহিদা পুরণ হবে না। এসময় কদমতলা গ্রামের এমাদুল হক গাজী, সিদ্দিক হাওলাদার, কাদের খান, বাচ্ছু হাওলাদার, খাদা গ্রামের রুস্তুম গাজীকে বীজ ধান না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

বিএডিসির ডিলার মেসার্স সরোয়ার এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. সরোয়ার হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগ সাতক্ষীরা ও যশোর থেকে চার টন বীজ ধান সংগ্রহ করেছে। নির্ধারিত মূল্যে চাষিদের মধ্যে তা সরবারহ করা হচ্ছে। তবে, বীজের আরো চাহিদা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওয়াসিম উদ্দিন বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, চাষের মৌসুম প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই মুহূর্তে কৃষকদের কথা চিন্তা করে তাৎক্ষনিকভাবে এই বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে চাষিরা অনেকটা উপকৃত হবেন। যারা পাননি তাদের জন্যও বীজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত