চিতলমারীতে দায়িত্বে অটুট এসিল্যান্ড স্বর্ণা

চিতলমারী প্রতিনিধি

আপডেট : ১১:২৬ পিএম, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১ | ৬৯৪

দেশে প্রায় দেড় বছর ধরে করোনার ক্রান্তিকাল চলছে। সেই শুরু থেকেই ঝুঁকির মধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন সহকারি কমিশনার, ভূমি (এসিল্যান্ড) জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা। কোন অবহেলা নয়, করোনাকে নেই কোন ভয়। দায়িত্ব পালনে সকাল-সন্ধ্যা ছুটছেন উপজেলার অলিগলি। তিনি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় কর্মরত।


গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মেয়ে জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল ও পরিবেশে অনার্স এবং মাস্টার্স পাশ করেন। ৩৫তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা ২০১৭ সালের ২ মে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেন। তিনি ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী চিতলমারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগদান করেন।


দেশে সর্ব প্রথম ৮ মার্চ (২০২০ সাল) করোনা রোগী শনাক্ত হয়। করোনা মোকাবেলায় সর্বাত্মক কাজ শুরু করে সরকার ও প্রশাসন। সেই থেকে দিন-রাত বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সর্বত্র দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তিনি। একজন সৎ ও সাহসী সৈনিক হিসেবে ঝুঁকি নিয়ে করোনার সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে চিতলমারীবাসির সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।


চিতলমারীর সিনিয়র সাংবাদিক মো. শফিকুল ইসলাম সাফা বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, করোনার সেই শুরু থেকে বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টাইন, করোনা শনাক্ত রোগীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে লকডাউন ঘোষণা, বিভিন্ন সময়ে সরকারি নির্দেশনা মানতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় এ্যাসিল্যান্ড স্যারের ভূমিকা প্রসংশনীয়। দায়িত্বে স্যার অটুট। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ স্যারে দায়িত্বের কঠোরতায় ক্ষুব্ধ।


সোমবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৫ টায় চিতলমারী সহকারি কমিশানর (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় জনসাধারণকে সচেতন করতে আমরা মাঠে কাজ করছি। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছি। করোনাকালিন সময়ে সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় মোট ৪৬০ টি মামলা হয়েছে। এ মামলায় ৪ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ টাকা অর্থদন্ড আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়াও আমরা জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মাইকিং, মাস্ক বিতরণ ও অনেককে সতর্ক করেছি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত