রামপালে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় একাধিক সাধারন ডায়রী

রামপাল প্রতিনিধি

আপডেট : ০৮:৪১ পিএম, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১ | ৯৭২

রামপাল থানা

রামপাল উপজেলার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুয়া ওয়ারেশ কায়েম সনদ তৈরি, প্রতিপক্ষকে মারপিট করার হুমকি, জোর পুর্বক জমি দখলের প্রচেষ্টা, মামলার বিচারকার্য ব্যহত ও প্রভাবিত করা, প্রতিপক্ষকে নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন, জীবন নাশের হুমকি প্রদর্শনসহ জানমালের ক্ষতির হুমকি দেয়ার অভিযোগে রামপাল থানায় একাধিক সাধারন ডায়রি করা হয়েছে। ডায়রি নং ৫৫৩, ৫৫২,৩৯৪, ৩৪৭ ও ৩৪১।

জানা গেছে, রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের সগুনা গ্রামের বাসিন্দা ব্রজেন্দ্র নাথ পালের ছেলে উত্তম কুমার পাল বিগত ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের ৫০/২০১৫ নং ভুয়া স্মারকে সগুনা গ্রামের এক ব্যক্তির নাম ঠিকানা ব্যবহার করে একটি ওয়ারেশ কায়েম সনদ তৈরি করে। যাহা ২৬/৮/২০১৫ তারিখে স্বাক্ষরিত এক প্রত্যায়ন পত্রে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খান তায়েব আলী ওই ওয়ারেশ কায়েম সনদটি ভুয়া বলে আখ্যায়িত করেন।

পার্শবর্তী রনশেন গ্রামের বিমল পালের ছেলে অশোক কুমার পাল সগুনা গ্রামের ব্রজেন্দ্র নাথ পালের ছেলে উত্তম কুমার পালের কাছে জমির হাড়ির টাকা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ করেন। (যার নং ৫৫৩,তারিখ ১৮/১১/২০১৫ইং)।

নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করায় উত্তম কুমার পাল ক্ষিপ্ত হয়ে অশোক কুমার পালকে হাড়ির টাকা না দিয়ে উল্টো তাকে লোকজন দিয়ে মারপিট করার হুমকি দেয়। সগুনা গ্রামের আরেক অভিযোগ কারির নাম রতন কুমার পাল। তার পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত জমি উত্তম কুমার পাল দীর্ঘ ৫/৬ বছর ধরে ভোগ দখলে আছে। রতন উত্তম কুমারের কাছে জমি ফেরত চাইলে তিনি ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তাই জমি ফেরৎ চেয়ে রতন রামপাল থানায় একটি ডায়রি করেছেন।

গত ০৭/১০/২০২০ তারিখ সগুনা গ্রামের দেবাশিষ পালের স্ত্রী রাধিকা রানীকে মারপিট করলে তিনি মারা যান। এঘটনায় রামপাল থানায় একটি মামলা হয়। (যার নং -১, তারিখ ৭/১০/২০২০)। ওই মামলায় উত্তম পালও একজন আসামী। তিনিসহ অন্য আসামীরা বাদী দেবাশিষ পালকে হুমকি দিয়ে আসছে। বাধ্য হয়েই তিনি রামপাল থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারন ডায়রি করেছেন। (ডায়রি নং ৩৫৪, তারিখ ৯/১১/২০২০)।


পার্শবর্তী রনশেন গ্রামের সুবোধ চন্দ্র পাল তার বোন রাধিকা রানীকে গত ৭/১০/২০২০ তারিখে হত্যার ঘটনায় রামপাল থানায় একটি মামলা করে। ওই মামলায় উত্তমকে আসামী করা হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সুবোধ পালকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। বাধ্য হয়ে তিনি রামপাল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। (ডায়রী নং ৩৪৭, তারিখ ৯/১১/২০২০)।

সগুনা পিত্যে এলাকার দেবাশিষ পাল গত ৮/১০/২০২০ তারিখ রামপাল থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন। (যার নং ৩৪১)। তিনি ওই ডায়রীতে উল্লেখ করে বলেন, উত্তম কুমার পাল ও অন্যান্যরা তাকে স্বাক্ষী দিতে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে।

এ ব্যাপারে উত্তম কুমার পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আমাকে অহেতুক হয়রানী করার জন্য একটা মহল থানায় আমার নামে কয়েকটি মিথ্যা জিডি করেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত