মোংলায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীর ৫৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৭:১৩ পিএম, বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ | ৭২৮

মোংলা পোর্ট পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও আগামী ১৬ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনী ৫৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন ধানের শীষ প্রতিকের মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ জুলফিকার আলী। বুধবার দুপুরের পর পৌর শহরের মাদ্রাসা রোডস্থ ধানের শীষ প্রতীকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।

তার ঘোষিত ইশতেহারের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য রয়েছে, পৌরসভার চলমান স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে ফ্রি চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা, পৌরসভা হতে নদীর এপাড়-ওইপাড় ২৪ ঘন্টা এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু, পৌর কর্তৃপক্ষের অধীনে ফ্রি/ নামমাত্র ফি নিয়ে উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু, বেকারত্ব দূরীকরণে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, পৌর এলাকার মসজিদের ইমাম/খতিবদের বেতন পৌরসভা হতে মাসিক হারে প্রদান, এলাকাভিত্তিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ ও প্রত্যেক বাড়ী হতে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার, বিবাহ, জন্মদিনসহ সভা-সেমিনারের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক সভাকক্ষ করা, পৌর কিচেন মার্কেট, মৎস্য মার্কেট, উন্নতমানের কসাইখানা নির্মাণ, মোংলা নদীর পাড়ে সাংস্কৃতিক চর্চায় রবীন্দ্র সরোবরের ন্যায় উম্মুক্ত মঞ্চ তৈরি, প্রতিটি ষ্ট্যান্ডে খাবার পানি সরবরাহ, শহরের নিরাপত্তায় প্রতিটি মহল্লা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা, পৌর মন্দির ও শ্বশ্মানঘাট নির্মাণ, নদীর ওপারে বাসষ্ট্যান্ডে সুন্দরবন জাদুঘর নির্মাণ, আধুনিক পৌর ভবন নির্মাণ, বুড়িরডাঙ্গা এলাকায় মনোরম পরিবেশের রাস্তা নির্মান, কবরস্থান তৈরী করা, হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট তৈরি করে পৌরবাসীকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করে শহরকে আধুনিক করা এবং পর্যটনবান্ধব পৌর শহর গড়ে তোলার ঘোষনা দেন বর্তমান মেয়র ও আগামী ১৬ জানুয়ারী নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোঃ জুলফিকার আলী। নির্বাচনী অফিস কার্যালয়ে ইশতেহার ঘোষিত সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে স্থানীয় বিএনপির বিভিন্ন নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র হিসেবে পৌরবাসীর সেবক হয়ে সেবা প্রদাণ করেছি। প্রথম পৌর নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমি আমার ব্যক্তি জীবনের সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে সর্বদা দলমত ও ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে থেকে জরাজীর্ন এবং প্রতি নিয়ত জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকা পৌরসভাকে সকলের সহযোগীতায় আজ একটি স্মার্ট সিটিতে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি।

আমি যখন নির্বাচিত হয়েছিলাম, সে সময় পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় ৯ মাসের বেতন-ভাতা বকেয়াসহ ২কোটি সাড়ে নয় লক্ষ টাকা দেনা নিয়ে মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণ করি। আজ সেই পৌরসভাকে সকল দেনা পরিশোধ করে পৌরসভাকে প্রথম শ্রেনীতে উন্নীত করা হয়েছে এবং পৌর তহবিলে আজ প্রায় ৩ কোটি টাকার উর্ধ্বে রিজার্ভ রেখে পুনরায় নির্বাচনে অংশগ্রহন করছি।

মোংলার উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। রাস্তা-ঘাট, ড্রেন, ব্রীজ, কালভার্ট, সুইস গেট, মেরিন ড্রাইভ রোড, সিসি ক্যামেরা, শিশু পার্ক, পানি প্রকল্প , পৌর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঈদগাহ, যাত্রী ছাউনী, পাবলিক এড্রেস সিষ্টেম (মাইক), মোংলা নদী পারাপার ঘাট, মালামাল লোড আনলোড ঘাট, জেটি, ফুয়ারা, পৌর এসি মার্কেট, ট্রাক টার্মিনাল, দিগরাজে মাল্টি পারপাস বিল্ডিং, বাউন্ডারী মার্কেটসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। এছাড়াও এ পৌরসভাকে আরো অনেকগুলো গুরুত্ব পুর্ন উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজ কে সমাপ্ত করে পৌরসভাকে দেশের উন্নতশীল পৌরসভার সাথে মিল রেখে পরিবেশ বান্ধব একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ও স্মাট পৌরসভায় রুপান্তিত করা হবে।

সর্বশেষ পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,সকলের কাছে নির্বাচন একটি উৎসবমূখর পরিবেশ কিন্তু বর্তমানে সেই পরিবেশ নাই। নির্বাচনের সুবাদে সকলের ঘরে ঘরে যাওয়া সম্ভব হয়নি বিভিন্ন বাধার কারণে, এ জন্য আমি সকলের কাছে আন্তরিক ভাবে মর্মাহত বলে জানায় মেয়র প্রার্থী মোঃ জুলফিকার আলী।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত