বাঘের হানা আতংক
সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ে মানুষের র্নিঘুম রাত
আপডেট : ০৭:২৩ পিএম, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৮ | ১২৪০
মোংলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন গোড়া বুড়বুড়িয়া এলাকায় আবারো বাঘের আক্রমনে একটি গরু মারা গেছে। বুধবার ভোরে উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার পাশে ঘাস খাওয়ার সময় গরুটির উপর আক্রমন করে একটি বাঘ। এতে ঘটনাস্থলে গরুটি মারা যায়। গরুটি মেরে রেখে বাঘ সুন্দরবনে ফিরে যায়। পরে মরা গরুটি উদ্ধার করে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভোরে চিলা ইউনিয়নের বৈদ্যমারী বাজার সংলগ্ন খড়মা নদীর পাড়ে বাঘের আক্রমনে একটি গরু মারা যায়।
এছাড়া বুধবার বিকেলে বাঘের আক্রমনের শিকার একটি মায়াবী হরিণ তাড়া খেয়ে বৈদ্যমারী বাজার সংলগ্ন একটি কাকড়া হ্যাচারিতে ঢুকে পড়ে। এভাবেই গত ১০ দিন ধরে প্রতিনিয়ত দিনে ও রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন বৈদ্যমারী, কাটাখালী ও বুড়বুড়িয়া এলাকায় বাঘ ঢুকে গবাদি পশু মেরে খাচ্ছে এবং নিয়ে যাচ্ছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ থেকে সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম একটি বাঘ বেরিয়ে মোংলা উপজেলার বৈদ্যমারী গ্রামের আবুল বাসার জোমাদ্দারের বাড়ীর রান্না ঘরের পাশে ঘুরাঘুরি করে কিছুক্ষণ পর একটি কুকুর ধরে নিয়ে চলে যায়। এর পর থেকে দিন শেষে রাত বাড়তে থাকলে বাঘ ঢুকে পড়ে বিভিন্ন বাড়ী ও ঘরের আঙ্গিনায়। সকালে ঘুম থেকেই উঠে লোকজন দেখছে বাঘের পায়ের চিহ্ন বিভিন্ন জায়গায় পড়ে রয়েছে। বৈদ্যমারী গ্রামের মো. সামছু, সোহাগ, রুহুল ও ফরিদ বলেন, বাঘ আতংকে সন্ধ্যার পর বাজারে লোকজন খুব কম থাকে। এছাড়া রাতে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ভয়ে ঘর থেকেও বের হচ্ছেনা ।
সুন্দরবন বিভাগের বৈদ্যমারী টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদ হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, গত ১০ দিন ধরে বৈদ্যমারী এলাকায় বাঘের উৎপাত বেড়ে গেছে। বাঘের আক্রমনে গবাদী পশু মারা পড়ছে। আতংকগ্রস্থ স্থানীয় লোকজনকে বাঘ সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ ও জীবন রক্ষায় লোকজনকে সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি সুন্দরবন বিভাগের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।