বাগেরহাটে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সভা : জনবল নিয়োগ ও ২৫০ শয্যা চালু শীঘ্রই

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৮:৪৬ পিএম, শনিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২০ | ৭৩৭৬

করোনার দ্বিতীয় প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সরকারী পরিকল্পনা অনুযায়ী বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি রয়েছে। জনবল নিয়োগ-সহ বাগেরহাট রাজিয়া নাসের ২৫০ শয্যা হাসপাতাল দ্রুত চালু করার জন্য কাজ দ্রুত গতিতে চলছে।’ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে টিআইবি’র সচেতন নাগরিক কমিটির ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ আলোচনা সভায় বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা: কে, এম, হুমায়ুন কবির এ কথা বলেন। সনাক সভাপতি প্রফেসর চৌধুরী আ: রবের সভাপতিত্বে “করোনাকালীন স্বাস্থ্যসেবায় সুশাসনে চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক” ভার্চুয়াল এ সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সনাক সদস্য বাবুল সরদার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সনাক সহ-সভাপতি ফরিদা রহমান, সনাক সদস্য মোরশেদুর রহমান, কাজী রেহেনা পারভীন, স্বজন সদস্য আবু হাছিব, ইয়েস দলনেতা শেখ সৈকত আলী প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় টিআইবি কর্তৃক করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবেলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ: দ্বিতীয় পর্বের গবেষণার ভিত্তিতে সনাক বাগেরহাটের সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। সুপারিশ সমূহ হলো-স্বাস্থ্য খাতের সব ধরনের ক্রয়ে সরকারি ক্রয় আইন ও বিধি অনুসরণ করা; জরুরিসহ সকল ক্রয় ই-জিপিতে করা; করোনা সংক্রমণের সম্ভাব্য দ্বিতীয় পর্যায়ের আঘাত মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করা; বিনামূল্যে নমুনা পরীক্ষার সুবিধা সকল জেলায় সম্প্রসারণ করা, নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো; ব্যবহৃত সুরক্ষা সামগ্রীসহ চিকিৎসা বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতালের সেবাসমূহকে করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা; প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতার জন্য সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; করোনা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে যে বিধি-নিষেধ দেওয়া হয়েছে তা বাতিল করা; স্বাস্থ্যখাতে ক্রয়ে তদারকি বৃদ্ধি করা এবং অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া; সম্মুখসারির সব স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রাপ্য প্রণোদনা দেয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছভাবে যাচাই-বাছাই করে দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা করা।

উল্লেখিত সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান অতিথি বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে, এম, হুমায়ুন কবির বলেন, বর্তমানে বাগেরহাটে করোনা পরিস্থিতি অনেক ভাল অবস্থানে আছে। এই ভাল অবস্থানে থাকার পিছনে সকল সেক্টরের অবদান রয়েছে। করেনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে সকল ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে।
ইজিপিতে ক্রয় করার জন্য সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। এ বিষয়ে সকল জেলায় প্রশিক্ষণ শেষ হলেও বাগেরহাটে আগামী বছরে শুরু হবে। বাগেরহাট সদর হাসপাতাল ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে ১০০ শয্যার হাসপাতালের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তারপরও কাভিড, নন কোভিড সকল রোগী যাতে সেবা পায় সেবিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। করোনা চিকিৎসায় চাহিদা অনুযায়ী নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বর্তমানে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে সেট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু আছে। শীঘ্রই অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন করা হবে। বাগেরহাট-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্যের প্রচেষ্টায় পিসিআর ল্যাব অনুমোদিত হয়েছে। ল্যাব পরিচালনার জন্য জনবল নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ২৫০ শয্যা হাসপাতাল দ্রæত চালুর কাজ চলছে। এটি চালু হলে বাগেরহাটে স্বাস্থ্য সেবারমান অনেকাংশে বেড়ে যাবে। এ সময় তিনি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বাগেরহাটবাসী তথা সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত