ব্রি ধান-৭৫ চাষে
ফকিরহাটে কৃষকের মুখে সাফল্যের হাসি
আপডেট : ০৬:৩৬ পিএম, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০ | ৪৪৩
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি অফিসের তত্বাবধায়নে ব্রি-ধান ৭৫ চাষে সাফল্যতা পেয়েছেন কৃষকরা। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন,সংরক্ষন ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ব্রি-ধান ৭৫-চাষ করেছে কৃষক। এ বছর বন্যা, ঝড়-জলোচ্ছাস বিপর্যস্ত করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। এর সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। প্রকৃতির এই বৈরিতায় আক্রান্ত হয়েছে দেশ। তারপরেও বৈরী আবহাওয়ায় ব্রি ধান-৭৫ ফলনে সাফল্য পেয়েছে কৃষক। এমন পরিস্থিতিতে কম সময়ে, কম খরচে অধিক ফলনের আগাম জাতের ধান ব্রি-৭৫ চাষ করে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপকালে তারা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ জাতের ধান চাষে সময় কম লাগে। পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় বালাই নাশক স্প্রে করতে হয় না। পোকা মাকড়ের আক্রমণ না থাকার কারণে ফলন ভালো হয়। এই ধান আগাম বাজারে আসায় দাম বেশ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে বেতাগা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুস আলী শেখ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, এই জাতের ধানের প্রদর্শনী প্লটে সোনালী শীষের দোলায় কৃষকের চোখে নতুন স্বপ্নের ঝিলিক দেখা যাচ্ছে। প্রকৃতির বৈরিতার মাঝে এই নতুন জাতের ধানে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। এই জাতের ধান চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে পাল্টে যেতে পারে দেশে কৃষি অর্থনীতি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার তন্ময় দত্ত বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, এ ধানের কান্ড শক্ত বলে গাছ হেলে পড়ে না। শীষ হতে ধান ঝরে পড়ে না। জাতটি আগাম হওয়ায় রোগ ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম। চালের চাহিদাও রয়েছে। বর্তমানে কৃষকদের মাঝে এর চাহিদা থাকায় আগামীতে অত্র উপজেলায় এই জাতের ধানের চাষ বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ নাছরুল মিল্লাত এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, আমন মৌসুমে ব্রি-৭৫ ধান একটি উচ্চ ফলনশীল জাত। ২১জুলাই হতে ২০আগষ্ট বীজ বপন করে ২৫ হতে ৩০দিনের মধ্যে চারা রোপণ করতে হয়। মাত্র একশো ১০ থেকে একশো ১৫দিনের মধ্যে এ ধান ঘরে তোলা যায়। এ জাতের ধানের ফলন বেশি হয় অর্থাৎ হেক্টর প্রতি সাড়ে চার টন হতে পাঁচ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।