ফকিরহাটে গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি: ফার্ম মালিকরা দিশেহারা

পি কে অলোক,ফকিরহাট

আপডেট : ০৬:০৮ পিএম, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৬৬৫

ফকিরহাটে দেশী ও বিদেশী জাতের গো-খাদ্যের তীব্র সংকট ও ফার্মের খাদ্য উপকরণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারনে ফার্ম মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মাংস ও দুধের চাহিদা পূরনে ফার্ম মালিকরা এ অঞ্চলে অগ্রনী ভুমিকা পালন করলেও সরকারী পৃষ্টপোষকতার অভাবে গবাদী পশু চাষিরা পথে বসার উপক্রম হয়েছে। মাংস ও দুধের চাহিদা পূরনে ফার্ম মালিক ও চাষিদের স্বল্প সুদে ঋণ ভর্তুকি ও প্রনোদনার ব্যাবস্থা গ্রহন করলে তাঁরা গবাদী পশু চাষে আরো উৎসাহী হবেন।

জানা গেছে, গত কয়েক মাসের করোনা পরিস্থিতির কারনে দেশী জাতের গবাদী পশুর খাদ্য সংকট চরম আকার ধারন করে। কোথাও খড়কুটা বিছালী এমনকি ঘাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। এঅবস্থায় গবাদী পশু চাষিরা খড়কুটা ও বিছালীর অভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কোন কোন স্থানে খড়কুটা ও বিছালী ম্যানেজ করা গেলেও আকাশ ছোয়া দামের কারনে তারা চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন।

গবাদী পশুচাষিরা জানিয়েছেন,কয়েক মাস আগে যে বিছালীর কাউন (১৬পোনে ১কাউন) ছিল ২/৩হাজার টাকা, তা এখন বেড়ে দাড়িয়েছে ৬/৭হাজার টাকায়। আগে ১বস্তা কুড়ার মুল্য ছিল ৫৬০টাকা, তা এখন বেড়ে দড়িয়েছে ৭২০টাকা, পালিশ কুড়ার মূল্য ছিল ১১শত টাকা তা এখন বেড়ে দাড়িয়েছে ১৫শত টাকায়, খৈলের কেজি ছিল ৩০টাকা তা এখন বেড়ে দাড়িয়েছে ৪০টাকায়। এই ভাবে দিনের পর দিন বাজার ব্যাবস্থাপনার কোন সঠিক মনিটরিং না থাকায় যে যার ইচ্ছামত দাম বসানোর ফলে গবাদী পশু পালনে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলী গ্রামের ডেইরী ফার্ম মালিক মোঃ আব্দুল হান্নান, মোঃ আলমগীর শিকারী ও রামপ্রসাদ শীল সহ একাধিক চাষির সাথে আলাপ করা হলে তাঁরা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন,বর্তমানে বাজারে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। খড়কুটা বিছালী কুড়া ভুষি খৈল ও অন্যান্য জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় গবাদী পশু পালন করা দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। বাজারে দুধের মূল্য কম হওয়ায় তারা নানান সমস্যায় পড়েছেন। গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি হলেও গবাদী পশু ও দুধের মূল্য অনেক কম থাকায় তারা পশু পালনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। এ অবস্থায় সরকারী প্রনোদনা দেওয়ার আহবানও জানান তাঁরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ পুষ্পেন কুমার শিকদার এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন,আমরা উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন খামারীদের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদানের জন্য বিভিন্ন ইউনিয়নে তালিকা করার কাজ করছি। সেই তালিকা মোতাবেক তাদের ব্যাংক একাউন্ট সহ ফার্ম মালিক ও চাষিদের নামের তালিকা মোতাবেক সরকার তাদের প্রনোদনার ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন বলেও তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত