দিনে দুইবার ডুবছে বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা ছয় গ্রামের ৬০০পরিবার

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৫:৫৬ পিএম, শুক্রবার, ২১ আগস্ট ২০২০ | ৮৪২

দিনে দুইবার ডুবছে বাগেরহাটের শরণখোলার বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারী ছয় গ্রামের প্রায় ৬০০ পরিবার। লঘুচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব গ্রামের সমস্ত ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পনি বেড়েছে তিন থেকে চার ফুট। উপকূল দিয়ে বয়ে যাওয়া সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় আম্ফানেও এতো পানি হয়নি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের বলেশ্বর পারের রাজৈর মারকাজ মসজিদ থেকে বান্দাঘাটা পর্যস্ত ৩০০পরিবার এবং সাউথখালী ইউনিয়নের বগী, ত্যাড়াবেকা, পানিরঘাট, সোনাতলা ও খুড়িয়াখালী গ্রামের ২৮০ পরিবার বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাস করছে। সারা বছরই জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে চলে তাদের জীবন। তার ওপর আহবাওয়া বৈরী হলে দুর্ভোগের আর শেষ থাকে না তাদের।

রাজৈর গ্রামের বাসিন্দা আ. হাকিম হাওলাদার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, জোয়ারে তার ঘরের মধ্যে অন্তত দেড় থেকে দউ ফুট পানি উঠেছে। বগী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী হাওলাদার জানান, সকাল-সন্ধ্যা দুইবেলা ডুবতে হয় তাদের। কোনোরকম দুর্যোগ বা জোয়ারের পানি একটু বাড়লেই ঘরে বসবাসের কোনো উপায় থাকে না। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানেও তারা এতো পানি দেখেনি বলে জানান।

রাজৈর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুর রহিম হাওলাদার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, স্থানীয় কিছু লোকের খামখেয়ালীর কারণে আজ জোয়ারে ডুবে মরছে ৩০০ পরিবার। রায়েন্দা খালের পাড় থেকে বেড়িবাঁধটি নির্মান কার হলে এই পরিবারগুলো রক্ষা পেত।

বগী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রিয়াদুল পঞ্চায়েত বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, আকাশে মেঘ দেখলেই সাউথখালীর এই পাঁচ গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। নদীর কাছাকাছি বাঁধের বাইরে থাকা এসব ভূমিহীন ও নি¤œ আয়ের মানুষের সারা বছরই ঝড়-জলোচ্ছাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে মানবেতর দিন কাটে। এসব পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান ওই জনপ্রতিনিধি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত