ঘুর্নিঝড় আম্পানে
মোংলার নদী ভাঙ্গন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার
আপডেট : ০৭:৫১ পিএম, সোমবার, ৮ জুন ২০২০ | ৬৬২
ঘুর্নিঝড় আম্পানে উপকুলীয় এলাকায় নদী ভাঙ্গনে বাড়ীঘরে পানি ঢুকছে এটা কষ্টদায়ক। সরকারের নির্দেশনায় ও আমাদের তদারকির প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। নদী ভাঙ্গনে পানি উন্নয়ন বোর্ডে ভেড়ীবাঁধ নির্মান কাজ টেকসই হতে হবে, যাতে এ এলাকার মানুষ ঘুর্নিঝড়ের সময় নির্ঘুম রাত কাটতে না হয়। ৮ জুন সোমবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ মোংলার কানাইনগরের পশুর নদীর ভাঙ্গনকূল এলাকা পরিদর্শনকালে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সরকারে নির্দেশনা বাংলাদেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবেনা। তাই সম্প্রতি উপকুলীয় এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘুর্নিঝড় আম্পানে এ এলাকায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক জেলে তার জাল নৌকা হারিয়েছে, বসত ঘর হারিয়েছে, নদী পাড়ে বসবাসকারীদের ঝড়ের সময় নদীর বাঁধ ভেঙ্গে পানি উঠে বসত ঘরের সব কিছুই ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, হারিয়েছে তাদের সহায় সম্বলটুকু। আমরা তাদের তালিকা তৈরী করেছি, সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং তৎক্ষনিক সল্প মেয়াদী সহায়তাও দেয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের।
সোমবার দুপুরে নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনকালে বিভাগীয় কমিশনার উপকুলীয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়নকর্মী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে কথা বলেন। খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সাথে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ, মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাহাত মান্নান, সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ আসিফ ইকবাল, সহকারি কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী, চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মোঃ তারিকুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর আলম শেখ, ইউপি সদস্য মোঃ সেলিমসহ সরকারী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে ভাঙ্গনকূল পরিদর্শনের আগে বিভাগীয় কমিশনার ন্যাজরীন মিশন কর্তৃক ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।