রামপালে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি কর্মহীনরা বিপাকে

এম,এ সবুর রানা, রামপাল

আপডেট : ০৩:৪৪ পিএম, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০ | ১০৯৯

বৈশ্বিক দূর্যোগ করোনা ও রমজানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতিতে নিম্ন আয়ের ও কর্মহীন মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ না থাকা ও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারনে পন্যের দাম বেড়েই চলেছে।

কাগজে কলমে সরকারিভাবে বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকলেও বাস্তবে সেটি কোন কাজেই আসছে না। যে কারনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় ক্ষমতা ক্রেতা সাধারনের নাগালের বাইরে চলে গেছে। উপজেলার সদর বাজার, ভাগা বাজার, ফয়লা বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, করোনার অজুহাতে মোটা চালের মূল্য দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। যে চাল দুই মাস পূর্বে ১৩’শ টাকা বস্তা (৫০ কেজি) ছিল সে চাল এখন ২ হাজার বা তার বেশি টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এভাবে অন্যান্য চালের মূল্য প্রতি বস্তায় হাজার টাকা থেকে বার’শ টাকা বেড়েছে। ভোজ্যতেল ও মসলার দামও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। যে পেয়াজ ২০ দিন পূর্বে ২০/২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল তা এখন বেড়ে ৬০ টাকা এবং ৬০ টাকার রসুন ১’শ ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তরকারির দাম কিছুটা কম থাকলেও তার দাম বাড়তে শুরু করেছে। করোনার থাবায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিন পার করছে। তার উপর রমজানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে সাধারণ মানুষ পড়েছেন বিপাকে।

এ ব্যাপারে রামপাল উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্ময় কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন শেখ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, দ্রব্যমূল্য স্থীতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ব্যবসায়ীদের উপর কঠিনভাবে নজরদারী করা হচ্ছে, যাতে করে কোন অবস্থাতে কেউ সিন্ডিকেট করতে না পারে। বাজারে যাতে ভোগ্য পন্য সরবরাহ বৃদ্ধিপায় সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে দরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে, যা আরও বৃদ্ধি করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত