প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা

কষ্টের মধ্যে দেশের কিন্ডারগার্টেন পরিবার:পাচ্ছেনা কোন সহায়তা

খোন্দকার নিয়াজ ইকবাল

আপডেট : ০৩:২৫ পিএম, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০ | ৭৩৬

করোনার মহামারীর মধ্যে বেসরকারি (ব্যাক্তি মালিকানাধীন) কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,কর্মচারী ও তাদের পরিবার। পড়ালেখা শেষ করে মানব সেবার মহান ব্রত নিয়ে শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশ করে ব্যাক্তি মালিকানাধীন কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে দেশের অসংখ্য মানুষ। সামান্য বেতনের চাকুরীর সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং ও টিউশনি করিয়ে অনেকটা জীবিকা নির্বাহ করতো এসকল মানুষ। দেশে করোনার মহামারীতে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ১৬ মার্চ থেকে শিা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অভিভাবক ও শিার্থীরা ঘরে থেকে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ওই শিক্ষার সাথে জড়িত প্রায় ১৫ ল শিক-শিকিা ও কর্মচারী ও এর সাথে সম্পৃক্ত তাদের পরিবারবর্গ অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে।

শিক্ষকতা মহান পেশার সাথে জড়িত থাকার কারনে পারছেনা কারো কাছে সাহায্য চাইতে,পারছেনা সাহায্যের জন্যে লাইনে দাড়াতে।এমন পরিস্থিতির মধ্যে অনেকটা দুর্বিসহ জীবন নিয়ে বেঁচে রয়েছেন তারা।

সরকারি টাস্কফোর্সের ২০১১সালের হিসাব অনুযায়ী দেশে ৬০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ আরো অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১ কোটির ও অধিক শিশু-কিশোর শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে, যা সরকারের শিক্ষা খাতে বিশাল ভুমিকা রাখছে। যার অধিকাংশই বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠান গুলোর ৯০% প্রতিষ্ঠানই আয়-ব্যয় সমানভাবে চলে। অধিকন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান ভর্তুকি দিয়ে পরিচালিত হয়।


কচুয়া উপজেলা শিশু নিকেতনের প্রধান শিক্ষক অনিমেশ হালদার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন,শিক্ষক হিসাবে কারো কাছে চাইতে পারিনা। অনেকটা কস্টের মধ্যে আছি তা কাউকে বলতেও পারিনা। কিভাবে চলবে আমাদের শিক্ষকরা? কিভাবে বেঁচে থাকবো!

মোহাম্মদপুরের বশিলা প্রিপারেটরী স্কুলের পরিচালক মো.আনিসুজ্জামান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আমাদের এই ৬০ হাজারের অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে, শিশু-কিশোরদের জীবনের সুরা নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা কামনা করছি।

ফ্রয়বেল চাইল্ড এডুকেশন স্কুল সোসাইটির প্রচার স¤পাদক মুহাম্মাদ আলাউদ্দিনবাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে আমরা শিক্ষক সমাজ, আমাদের সামনে-পিছনে শিক্ষকতার সাইনবোর্ড রয়েছে, যার দরুন আমরা ইচ্ছে করলেও সমাজে কারো কাছে হাত পেতে কিছুই চাইতে পারি না। আমরা আজ দুশ্চিন্তাগ্রস্থ, চরম হতাশায় নিমজ্জিত আমরাও আমাদের ভবিষ্যত। আবার আমরা নাকি বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋনেরও আওতায় পড়ি না। করোনার মহামারী পরিস্থিতিকে কিভাবে মোকাবিলা করবো, কিভাবে বাড়ি ভাড়া, শিক্ষকদের বেতন, কর্মচারীদের বেতন, বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল পরিশোধ করবো,আজ সেই চিন্তা থেকে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়ে তার সহযোগিতা কামনা করছি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত