কোভিড-১৯এর প্রভাব, সরকারি সম্মানি ভাতার দাবি

কচুয়ায় কর্মহীন ইমাম,পুরোহিতদের অসহায় জীবন যাপন

শুভংকর দাস বাচ্চু ,কচুয়া

আপডেট : ০৪:৫১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০ | ৭৫৮

কচুয়ায় করোনা ভাইরাসের প্রর্দুভাবে মসজিদ ও মন্দিরের সাথে জড়িত প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার অসহায় জীবন যাপন করছে। ধর্মীয় উপসানলয় সাধারনত মুসল্লী ও পুজারিদের দানেই চলে। আর এই দানের অংশ থেকেই বেতন হয় ইমাম,পুরোহিতদের। এ সামান্য বেতন দিয়ে তাদের কোন রকমের জীবন চালিয়ে যেতে হয়। কোভিড-১৯ এ আত্রান্তের সংখ্যা বিশ্বব্যাপি বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার মসজিদে না গিয়ে বাড়ীতে বসে নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত দেন। এতে বেশিরভাগ মুসল্লীরা ঘরে বসেই নামাজ পড়েন ও হিন্দুরা ঘরে বসেই পূজা-অর্চনা করে। মসজিদে মুসল্লি ও মন্দিরে পুজারীদের উপস্থিতি না থাকায় ইমাম ও পুরোহিতরা তাদের বেতন পাচ্ছেননা। বেতন না পাওয়ায় অধিকাংশ পরিবার নিয়ে চরম অর্থ কস্টে রয়েছেন।

জানাগেছে, কচুয়া উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে ১৯৬ টি মসজিদ ও ৩৮/৪০টি সার্বজনীন মন্দির রয়েছে। বাধাল ৩৩, কচুয়া ৪১, রাড়ীপাড়া ৩১, মঘিয়া ১৯, গজালিয়া ৩৮, ধোপাখালী ১৭, গোপালপুর ১৭ টি মসজিদ আছে। মসজিদ ও মন্দিরের সাথে জড়িত প্রায় ৩ শতাধিক ইমাম,মুয়াজ্জিন, পুরোহিত ও সেবাইত করোনাভাইরাসের মহামারির কারনে কর্মহীন হয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে।

বাধাল বাজারের রাধাগোবিন্দ মন্দিরের সেবাইত কল্যানী রানী ও জগন্নথ দাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, মন্দির এলাকার বাজারে দোকান ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ফুল তুলসি দিয়ে যে প্রনামির টাকা পেতাম তা থেকে মন্দির কমিটি তাদের বেতন দিতেন। তা দিয়েই সংসার চলতো। করোনাভাইরাসের মহামারির কারনে সকল দোকান ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মন্দির কমিটি তাদের বেতন দিতে পারছে না। অসহায় অবস্থায় আমাদের দিন কাটছে। তারা সরকারি ভাবে সম্মানি ভাতার দাবি করছে ।

বাধাল বড়বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম সিরাজুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, গত মাসের বেতন এখন পর্যন্ত দেয়নি। চলতি মাসে মসজিদ কমিটি কি করবে জানি না। করোনাভাইরাসের কারনে মুসল্লীরা এখন মসজিদে নামাজ পড়তে আসেনা বললেই চলে। পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে ভিষন কষ্ট হচ্ছে। সরকারি ভাবে আমাদের যদি সাহায্য করতো তাহলে হয়তো দু‘বেলা দু‘মুঠো খেতে পারতাম।


রঘুদত্তকাঠী শাহী জামে মসজিদের সভাপতি রিপন শেখ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, এলাকার মুসল্লীদের চাঁদার টাকায় আমাদের মসজিদ চলে। করোনাভাইরাসের কারনে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে আসেনা এবং মাসিক চাঁদাও দেয় না, তাই আমরা ইমামদের বেতন দিতে পারছি না। একারনে আমাদের ইমাম এখন মসজিদে আসতে চাচ্ছে না।

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজিৎ দেবনাথ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের জন্য নগদ কোন অর্থ বরাদ্দ নেই। ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে কিছু নাম এসেছে তাদেরকে খাবার দেওয়া হবে। যাদের খাবার নেই তারা আমাদের মোবাইল করে জানালে আমরা তাকে খাবার পৌছিয়ে দেবো।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত