বাস্তবায়ন হতে চলেছে বাগেরহাট বাসীর দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্খার

স্টাফ রির্পোটার

আপডেট : ০৩:২৮ পিএম, রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২০ | ২৭৯০

সুদূরপ্রাচীনকাল থেকে আজ র্পযন্ত এদেশের সিংহভাগ জনগন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল।আর এ কৃষি তথা ফসল ফলানোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকরন হচ্ছে পানি। এ পানির বৃহত্তর উৎসগুলোর মধ্যে নদী-নালা,খাল-বিল অন্যতম। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবৎ এসকল নদী নালা ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে কৃষির এ অগ্রগতি।

কৃষিনির্ভর বাগেরহাটের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ভরাট হয়ে যাওয়া নদী-খাল খননের মাধ্যমে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনার। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক যুগ দেরিতে হলেও তাদের সে স্বপ্ন এখন বাস্তবায়ন হতে চলছে। ইতিমধ্যে জেলার প্রায় সকল নদী-খাল খননের কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে। এতে এলাকার কৃষক ও সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, জেলার সদর,ফকিরহাট,চিতলমারীসহ বিভিন্ন উপজেলার ভৈরব, মরাচিত্রা,বলেশ্বর নদীসহ অর্ধশতাধিক খাল খননের কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি নদী ও খালের পাশের গাছপালা কেটে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। প্রায় সকল স্থানে খননের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এসকল নদী-খাল খননের মাধ্যমে কৃষিখাত,মৎসখাত ও নৌযোগাযোগে ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।

বাগেরহাট সদর উপজেলার সোতাল গ্রামের হেমায়েত আলী বলেন,“অতি প্রাচীনকাল থেকে আমাদের এ এলাকার বেশিরভাগ মানুষ মৎস চাষের সাথে সম্পৃক্ত । কিন্তু গত কয়েক বছর যাবৎ এ এলাকার নদী-খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে ফলে প্রচুর ঘের ও পুকুরের প্রচুর পরিমানে মাছ মারা যাচ্ছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এলাকার নদী-খাল খননের কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি ফলে অধিকাংশ খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় জোয়ার-ভাটার পানির ওঠা-নামা ব্যাহত হয়েছে। এতে চাষাবাদ ও নৌযাগাযোগে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছিল ”। বর্তমান সরকারের যুগোপযুগি এ পদক্ষেপের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন এলাকাবাসী। এসময় তারা সরকারের যেকোন উন্নয়নমূলক কাজে সর্বাত্বক সহযোগীতারও আশ্বাস দেন ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত