রামপালে তীব্র লবনাক্ততার মধ্যে আমন আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে

এম.এ সবুর রানা, রামপাল

আপডেট : ০৮:২৮ পিএম, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০১৯ | ১০৫৩

রামপালে তীব্র লবনাক্ততার মধ্যে ও অনুকুল আবহাওয়া থাকায় গত বছরের চেয়ে আমন আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। অব্যহত ধানের দর পতনের কারনে কৃষকরা তাদের খরচ বাঁচাতে পারবেন কি না এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, সময়মত বীজ, সার সরবরাহ, লবন সহিষ্ণু জাতের ধান আবাদ ও অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করায় কৃষক অধিক ফলনের আশা করছেন।

এবছর রামপালের ১০টি ইউনিয়নে হাইব্রীড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান মোট আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে। গত বছর এ আবাদের পরিমান ছিল, ৭ হাজার ৯২০ হেক্টর।

উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নে উফশী ১৭০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৪৪০ হেক্টর, উজলকুড় ইউনিয়নে উফশী ১৯০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৩৫০ হেক্টর, বাইনতলা ইউনিয়নে উফশী ৬৯০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৫৩০ হেক্টর, রামপাল সদর ইউনিয়নে উফশী ৩২০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৫৭০ হেক্টর, রাজনগর ইউনিয়নে উফশী ১৮০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৩০৫ হেক্টর, হুড়কা ইউনিয়নে হাইব্রীড ১০ হেক্টর, উফশী ৩১৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৫০০ হেক্টর, পেড়িখালী ইউনিয়নে উফশী ২৬০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৫৫০ হেক্টর, ভোজপাতিয়া ইউনিয়নে উফশী ১৭০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৩০০ হেক্টর, মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নে উফশী ৮৫০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৭৮০ হেক্টর ও বাঁশতলী ইউনিয়নে উফশী ১৮০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২৩০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নে ওয়াফদা ভেড়ীবাঁধের আওতাভূক্ত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি আমন আবাদ হয়েছে।

রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মোতাহার হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, সরকার কৃষির উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করায় দিন দিন কৃষি আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস, উঠান বৈঠক, ব্লক পর্যায়ে কৃষক দল গঠন, প্রশিক্ষন, বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করন সভাসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে আসছি। পূর্বের চেয়ে কৃষকরা এখন অনেক সচেতন। তারা সার্বক্ষনিকভাবে কৃষি তথ্য আদান-প্রদান করেন এতে আমরা তাদের সঠিক পরামর্শ দিতে পারি এ কারনে তীব্র লবনাক্ত অঞ্চলেও দিন দিন কৃষি আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত