সোনালী আঁশের স্বর্ণালী দিনের অপোয় চাষিরা

চিতলমারীতে মধুমতি ও বলেশ্বর নদীর বিস্তৃর্ণ চর জুড়ে পাট চাষ

এস এস সাগর, চিতলমারী

আপডেট : ০৬:০৩ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৬২৬

চিতলমারী উপজেলার মধুমতি ও বলেশ্বর নদীর বিস্তৃর্ণ চর ও জমিতে ব্যাপক ভাবে পাট চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে এসব জমির পাট কেটে জাগ দেওয়া ও আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত চাষীরা। এ চাষের মাধ্যমে স্থানীয় চাষিরা সোনালী আঁেশর স্বর্ণালী দিনের অপোয় রয়েছেন। অনেক চাষি এখন পাট চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন। এবছর ন্যায্যমূল্য পেলে আগামীতে তারা আরও ব্যাপক ভাবে এটি চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এ উপজেলায় ২ হাজার ২৬০ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষ হয়েছে। তারমধ্যে তোষা (জেআরও-৫২৪) জাতের পাট এক হাজার ১৪৮ একর জমিতে, তোষা (ও-৯৮৯৭) জাতের পাট ৯৬৪ একর জমিতে, মেচতা (বঙ্কিম) জাতের ১৪৮ একর জমিতে উৎপাদন হয়েছে। মোট উৎপাদিত পাট আঁশের পরিমান ৮ হাজার ৬০০ বেল।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বড়বাড়িয়া, কলাতলা, হিজলা, শিবপুর, চিতলমারী সদর, চরবানিয়ারী ও সন্তোষপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জমিতে ব্যাপক ভাবে পাট চাষ করা হয়েছে। এলাকার নারী-পুরুষ সকলে রাত-দিন সমান তালে পাট কেটে প্রক্রিয়াজাতের জন্য কাজ করছেন। গত কয়েক বছর ধরে সবজি ও ধান চাষ করে লোকসান হওয়ায় এটি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। যার কারণে অনেকেই আগ্রহের সাথে পাট চাষ করেছেন। এলাকার চাষিরা এখন এটি চাষের মাধ্যমে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন।

এ অঞ্চলের পাট চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে চাষিদের পাট চাষ করে লোকসান গুনতে হয়েছে। ফলে এটি চাষ করা থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে দেশ-বিদেশে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এটি চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। এছাড়া এ বছর প্রথমদিকে পাটের দাম কম থাকলেও বর্তমানে পাটের বাজার দর ভালো থাকায় ও পাটকাঠি থেকে বাড়তি আয় ঘরে আসায় চাষিরা লাভের মুখ দেখছেন। উপজেলার কুরমনি গ্রামের বরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। এ বছর পাটের গাছও খুব ভালো হয়েছে। এসব পাট আঁশ তোলা হয়েছে। সপ্তাহ খানেক পর বিক্রির জন্য বাজারে তোলা হবে।

চিতলমারী বাজারের পাট ব্যবসায়ী মোঃ আবুল হোসেন ও মোঃ রফিকুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, মাঝে বেশ কয়েক বছর এখানের চাষিরা পাট চাষ করতেন না। বর্তমানে প্রচুর পাট পাওয়া যাচ্ছে। তারা প্রতিমন পাট এক হাজার ৬০০ টাকা দরে ক্রয় করছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ বছর পাটের উৎপাদন ভাল হয়েছে। বাজার দর প্রথমদিকে কম হলেও বর্তমান ভাল। এবছর ন্যায্যমূল্য পেলে আগামীতে পাট চাষিরাা আরও ব্যাপক ভাবে এটি চাষ করবেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত