বিদ্যালয়ের সীমানা নিয়ে জটিলতায়

মোরেলগঞ্জে নতুন ভবন নির্মানে অন্তরায়,শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি

আপডেট : ০৫:১৮ পিএম, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৪৮৬

মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ১০৬ নং বি উমাজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা ও জমি নিয়ে জটিলতার কারনে বিদ্যালয়ের নতুন ভবর কাম সাইকোন সেল্টার নির্মানে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিয়েছে। আর এ নতুন ভবন না হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন যাবৎ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কাশ করছে।

অভিযোগে জানা গেছে, ১৯৫২ সালে ভান্ডারিয়া উপজেলার চোহুরিয়া গ্রামের আপেল হাওলাদারের পুত্র মেনাজ উদ্দিন হাওলদার এ বিদ্যালয় নির্মানে জন্য ৪৯ শতক জমি সহ অন্যান্য দাতা মিলে ৫ শতক সহ জমি মোট ৫৪ শতক জমি রেজিষ্ট্রিমূলে প্রদান করা হয়।

কিন্তু সরেজমিনে বিদ্যালয়টি ৬০ বছর যাবৎ মাত্র ২৭ শতক জমি নিয়ে ভোগ দখলে রয়েছে। বাকী ২৭ শতক জমি মোছলেম আলী তালুকদারের পুত্র আকতারুজ্জামান কবির , করিম খানের পুত্র লতিফ খান এবং আবুল কাশেম আকনের পুত্র খলিল আকন ৬০ বছর অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছে। সাইকোন সেল্টার কাম বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মানের নিমিত্তে মাপ করতে গিয়ে এসব তথ্য বেরিয়ে পড়ে। বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আকবর আলীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার অসীম কুমার সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু, স্থানীয় সার্ভেয়ার শাহজাহান ফরাজী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সরেজমিনে মাপজোকে অবৈধ দখল দারীদের মুখোশ উম্মোচিত হয়। এতে করে দখলদার প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়েন প্রধান শিক্ষক আকবর আলী। দাখলদাররা ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানি করছে আকতারুজ্জামান কবির।

প্রধান শিক্ষক আকবর আলী বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, মুলজমি দাতা মেনাজউদ্দিনের হাওলাদারের সাথে আকতারুজ্জামান কবিরের দাদার নাম মেনাজউদ্দিন তালুকদারের মিল থাকার সুযোগ নিয়ে এলাকার লোকজনকে ভুল বুঝিয়ে অবৈধভাবে জমি ভোগ দখল করেন এবং জমিদাতা হিসেবে তার পিতা মোসলেম আলী তালুকদার ৪০ বছর যাবৎ সভাপতি আসন দখল করে ছিলেন। মাপজোকে থলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়লে মোসলেম আলী সহ তার ৫ ভাই বিদ্যালয়ের নামে ৫ শতক জমি দান করেন। যা এখনো বিদ্যালয়ের দখলে নেই। অপরদিকে আকতারুজ্জামান কবির গং তড়িঘড়ি করে বিদ্যালয়ের সীমানার ১ লক্ষ ৩ হাজার টাকার গাছ কেটে নেয়। অবৈধভাবে গাছ কেঁটে নেয়ার জন্য জমি দাতা মজিদ হাওলাদার বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য বরবার অভিযোগ দায়ের করেছেন। সিডর বিধ্বস্ত এ ওয়ার্ডে কোন সাইকোন সেল্টার না থাকায় তিনিও সাইকোন সেল্টার কাম বিদ্যালয় নির্মানের জন্য ১২ শতক জমিও দান করেছেন।

বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার অসীম কুমার সরকার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, মাপজোকের পর দখলদার ও পিলার দিয়ে সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। এ অভিযোগের বিষয়ে আকতারুজ্জামান কবির বলেন, সে তার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে গাছ কেটে জনস্বার্থে ব্যবহার করছেন।

জমির জটিলতা নিরসন করে সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত এ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে যাতে সাইকোন সেল্টার কাম বিদ্যালয় নির্মিত হয় এবং দুর্যোগের সময় এলাকার শত শত নারী পুরুষ আশ্রয় নিয়ে জীবন বাঁচাতে পারে তার তার জন্য এলাকাবাসী দাবি জানাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত