ডলফিন প্রকল্পের দুইদিন ব্যাপী সুন্দরবনে শিক্ষা সফর

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০২:৪৮ পিএম, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১৩৯১

মোংলায় ডলফিন প্রকল্পের আয়োজনে দুইদিন ব্যাপী ডলফিন অভয়ারণ্যের উপর নদী ভ্রমন ভিত্তিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুন্দরবন সংলগ্ন দাকোপ উপজেলা তুলুকদার আখতার ফারুক মাধ্যমিক ও জয়মনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়লের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ নদী ভ্রমন ও শিক্ষা সফরে যাওয়া হয়েছে।

মাধ্যমিক স্কুলের কোমলমতী শিশু কিশোরদের নিয়ে এ শিক্ষা সফরের মূল বিষয় ছিল বিলুপ্ত প্রায় ডলফিন কিভাবে সংরন করা যায়। সুন্দরবনের বিভিন্ন নদ নদী ও খালে ডলফিনের অভয়ারণ্য, এসব অভয়ারণ্যের উপর ছাত্র ছাত্রীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী দাকোপ উপজেলার খেজুরিয়া গ্রামের তালুকদার আখতার ফারুক মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মোংলা উপজেলার জয়মনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ৪০ জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাংবাদিক এ শিক্ষা সফরে অংশগ্রহন করেন।

সুন্দরবনের করমজল, ঢাংমারী, ঘাগড়ামারী, জোংড়া, মরাপশুর, নন্দবালা, হাড়বাড়িয়াসহ পশুর নদীর বিভিন্ন ডলফিন অভয়ারণ্য গুলো ঘুরে দেখানো হয় কোমলমতী এ শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও শিক্ষা সফরে ডলফিনের উপর কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ী ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। ডলফিন প্রকল্পের এ শিক্ষা সফরে পর্যটন স্পট হারবাড়িয়া ও করমজলে বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্র উপভোগ করে এসকল শিক্ষার্থীরা। এসময় ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বিলুপ্ত প্রায় ইরাবতি ডলফিন ও শুশুকের উপর বিস্তারিত পর্যালোচনা এবং ধারনা দেন করমজল ফরেষ্ট কর্মকতা মোঃ আজাদ কবীর।

এসময় তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সূত্রে ২০১২ সালের জানুয়ারিতে সুন্দরবনের ঢাংমারী, চাঁদপাই ও দুধমুখী এলাকাকে ডলফিনের অভয়ারণ্য ঘোষণা করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। এ তিনটি এলাকার প্রায় ৩২ কিলোমিটার নদীজুড়ে ইরাবতি ও শুশুক ডলফিনের বিচরণ রয়েছে। কিন্তু পরিবেশ প্রতিবেশগত কারণে এসব ডলফিন আজ বিলুপ্তির পথে। অভয়ারণ্য ঘোষণার পরও এসব এলাকা দিয়ে ভারী নৌযান চলাচল করায় নদীর তীর ভেঙে যাচ্ছে। তীরের মাটি নদীর গভীর স্থানগুলো ভরাট করে ফেলছে। এর ফলে ডলফিনের আবাসস্থল তিগ্রস্থ হচ্ছে।

শিশু কিশোরদের নিয়ে শিক্ষা সফরে সুন্দরবন পাশর্বতী গ্রামের শিক্ষার্থীদের মাঝে ডলফিনের বিষয়ে তাদের জ্ঞান ও ধারনা দেয়া হয়। এখন থেকে শিক্ষার্থীদের ডলফিন সংরক্ষনের ধারনা থাকলে এ প্রজাতিকে রক্ষায় আরো সচেতন হবে বলে মনে করেন প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ। এ কারনেই ডলফিন প্রকল্পের মাধ্যমে ডলফিন অভয়ারণ্যের উপর নদী ভ্রমন ভিত্তিক শিক্ষা সফর করার উদ্যোগ গ্রহন করেছেন তারা।

প্রকল্পের আই ইউ সি এন'র প্রজেক্ট ফেসিলেটেটর জোবায়ের হুসনি ফাহাদ, সিএনআরএস'র প্রোগ্রাম ফেসিলেটেটর স্বরন কুমার চৌহান, প্রধান শিক্ষক তপন কুমার মন্ডল, সরদার জালাল উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক দিলিপ কুমার মন্ডল, নারায়ন চন্দ্র হাওলাদার, চঞ্চল কুমার দাশ, প্রীতিলতা মন্ডল এবং প্রকল্পের মোঃ নুরুজ্জামান, নুর ও সুজন উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত