মোংলায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের পরও

মোংলায় হোটেল ও মিষ্টির দোকানে তৈরী হচ্ছে ভেজাল খাবার

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৫:৪৫ পিএম, সোমবার, ২০ মে ২০১৯ | ২১৫৫

মোংলা শহরের বিভিন্ন মিষ্টির দোকান ও রেঁস্তরায় খাবার তৈরী হচ্ছে অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা পরিবেশে। এ ছাড়া এসব মিষ্টি ও খাবারে দেয়া হচ্ছে নানা ধরণের ভেজাল ও নিম্মমানের উপকরণ। অনের ক্ষেত্রে পঁচা ও বাসি খাবারও সরবরাহ করা হচ্ছে। এসব অভিযোগে গত সপ্তাহে ভ্রাম্যমান আদালত একটি ঘোষ ডেয়ারী ও দু’টি রেঁস্তরাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। অভিযোগ উঠেছে, ভেজাল বিরোধী অভিযানে জরিমানা করার পর বিভিন্ন মিষ্টিন দোকান, হোটেল ও রেঁস্তারায় এখনও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ভেজাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে মিষ্টি ও বিভিন্ন খাবার তৈরী ও সরবরাহ করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোংলা শহরের অধিকাংশ খাবার হোটেল, রেঁস্তরা ও মিষ্টি তৈরীর দোকানগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে নোংরা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে নানা ধরনের মিষ্টি ও খাবার তৈরী করা হচ্ছে। অতি মুনাফার আশায় এসব দোকান মালিকরা অতি নিন্মমানের উপকরণ মিশিয়ে খাবার তৈরী করছেন। অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশন করা হচ্ছে পুরনো পঁচা বাসি খাবার।

এ ছাড়া সিন্ডিকেট তৈরী করে খাবারের অতিরিক্ত দাম নেয়ার অভিযোগও রয়েছে এসব খাবার হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত এসব দোকানীকে নানা অভিযোগে জরিমানা করলেও কিছুদির যেতে না যেতেই হোটেল মালিকরা পুনরায় অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে পুনরায় খাবার তৈরী করে তা ক্রেতাদের মাঝে সরবরাহ করে থাকে। এ ছাড়া খাবার ও মিষ্টি তৈরীতে নিম্নমানের উপকরণসহ ভেজাল মেশানোর চালিয়েই আসছে। শহরের নামিদামি সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারীতে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার ভ্রাম্যমান আদালত নানা অনিয়মের অভিযোগে জরিমানা করলেও অপশক্তির ক্ষমতা বলে এ মিষ্টির দোকানে এখনও নানা ভেজাল ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মিষ্টি তৈরী করে তা ক্রেতা সাধারণের মাঝে সরবরাহ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ গত ১৫ মে বিকেলে মোংলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খন্দকার রবিউল ইসলাম মিষ্টির কড়াই এবং সিরকার মধ্যে তেলাপোকা ও অন্যান্য মরা পচা পোকা মাকর থাকায় সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারী মালিক উত্তম ঘোষকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। এছাড়া একই সময়ে নোংরা পরিবেশে খাদ্য তৈরি ও বেচা-কেনার অভিযোগে তালুকদার আব্দুল খালেক সড়কের আল মদিনা হোটেলকে ৩ হাজার ও বাংলাদেশ হোটেলকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অভিযানের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মদিনা হোটেলের ফ্রিজে রাখা খাবারের মধ্যেও তেলাপোকা দেখতে পান।

এ ছাড়া বাংলাদেশ হোটেলের খাবারের মধ্যে ভেজাল দেখতে পান। এ অভিযানে জরিমানার টাকা প্রদানের পর এখনও মোংলার বিভিন্ন খাবার হোটেল ও মিষ্টির দোকানে ভেজাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে নানা ধরনের খাবার তৈরী করা হচ্ছে। নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে তৈরী করা এসব খাবারে সিন্ডিকেট করে হোটেল মালিকরা অতিরিক্ত দামও আদায় করছে বলে ক্রেতা সাধারণ অভিযোগ করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত