নজরদারী করেই চোরা শিকারীদের দমন করা সম্ভব- পরিবশে ও বনমন্ত্রী

মাসুদ রানা,মোংলা

আপডেট : ০৮:১৯ পিএম, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৯ | ৭৭৬

মোংলায় সুন্দরবনের করমজল ও হাড়বাড়িয়া পর্যটক এলাকা পরির্দশন করেছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন। এসময় মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন রক্ষা করতে হলে আইন বা ভালবাসা দিয়ে এ সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব না। কঠোর নজরদাড়ী এবং এর পাশাপাশি আইনের শাসন প্রয়োগ করে চোরা শিকারীদের রোধ করা সম্ভব।

এক শ্রেনীর লোক সুন্দরবনে মাছ ও কাকড়া আহরনের নাম করে পাশ পারমিট নিয়ে দস্যুতা করে বেড়াচ্ছে, তাদের চিহ্ণিত করতে হবে। সরকার এ সুন্দরবনের বন ও জলদস্যুদের প্রচুর সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। তাদের অন্যায়ের পথ থেকে সড়ে আসতে বেশ কয়েকবার আহবানও জানানো হয়েছে। তবে যারা সরকারের কথায় সারা দিয়েছে তাদের জীবন ঘুড়ে দাড়িয়েছে এবং যারা সরকারের এ আহবানে সারা দেয়নাই তাদের ভাগ্যে কি ঝুটবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ যানেনা। মামলা-হামলা, জীবনের বেচে থাকার নিশ্চিয়তা দেয়ার পরেও দস্যুরা ভাল পথে ফিড়ে আসছে না, এর পরে বনের ভিতরে জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপন আদায় করছে তাদেরকে ও ধরে আইনের আওতায় এনে সুন্দরবনকে অবশ্যই দস্যু মুক্ত করা হবে বলে শুক্রবার সকালে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র ও হারবাড়িয়া ইকো টুরিজম পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, সুন্দরবনে জেলে নামের একদল সম্পদ দস্যু যারা বনের বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে মাছ ও উপরে ফাঁদ দিয়ে হরিণ ও বাঘ শিকার করছে তাদেরকে চিহ্ণিত করে আইনের আয়োতায় আনা হবে। এজন্য শুধু আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয়ভাবে সকলের সহযোগীতা করতে হবে।


উপমন্ত্র বেগম হাবিবুন নাহার এমপি বলেন, সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সুপেয় পানির ব্যাবস্থা করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনকে বাঁচানোর জন্য, পরিবেশবান্ধব রাখতে তাদের মন্ত্রণালয় প্রতিনিয়ত কাজ করছে সরকার। পাশাপাশী সুন্দরবনকে সুরা করতে যা কিছু করা দরকার সব কিছুই করতে প্রয়োজনীয় পদপে নিবে সরকার। পরে মন্ত্রী সুন্দরবনের হারবাড়িয়া ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রের খালে লোনা পানির ৪টি কুমিরের বাচ্চা অবমুক্ত করেন। আসার পথে দুই মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের সিন্দুর তলা নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসব এলাকার নদী ভাঙন রোধে কার্যকর পদপে নিতে তার মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তারা। সুন্দরবন ও নদী ভাঙ্গন এলাকায় পরিদর্শনকালে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মহসিন চৌধুরী, বন বিভাগের খুলনা সার্কেলের বন সংরক (সিএফ) আমির হোসেন চৌধুরী, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলামসহ বন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত