পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনে জিও-এনজিওদের এক সাথে কাজের আহবান উপমন্ত্রীর

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৯:৪১ পিএম, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০১৯ | ৫৬৮

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় করনীয় শীর্ষক এক এ্যাডভোকেসী সভায় যোগ দেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি। শনিবার দুপুরে উপজেলা অফিসার্স কাবে এ সভায় তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সুন্দরবনসহ উপকুলীয় এলাকায় অনেক ক্ষয়ক্ষতী হয়েছে এবং আগামীতেও অনেক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দুর্যোগের পূর্বে, চলাকালে ও পরে মোংলা উপজেলায় প্রতিটি এলাকায় সকল জিও,এনজিওদের সমন্নয় কাজ করার আহবান জানায় এ উপমন্ত্রী।

এছাড়া এনজিওদের দুর্নীতি নিয়েও কথা বলেন এসভায় বক্তারা। তারা বলেন, মোংলা উপজেলায় এনজিও জেজে এসসহ বেশ কয়েকাট এনজিও সংস্থা জলবায়ু পরিবর্তনও দুর্যোগ মোকাবেলা নিয়ে কাজ করছে। তারা উপকুলীয় এলাকার প্রত্যান্ত অঞ্জলে কাজ না করে লোক দেখানো কিছু সভা সমাবেশ দেখিয়ে প্রকল্পের টাকা লুটপাট চালিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করে পকেট ভারী করছে।

উপমন্ত্রী আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চেয়ে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোংলায় সুপেয় পানির সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী। নিরাপদ খাবার পানির সংকট সমাধানে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। শনিবার সকালে মোংলা উপজেলা অফিসার্স কাব মিলনায়তনে কমিউনিটি রেজিলিয়েন্স এ্যাকশন গ্রুপ এবং কাইমেট চেঞ্জ এ্যাকশন গ্রুপের আয়োজনে এ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অথিতি হিবেসবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি।

এসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম সরোয়ার ও মোংলা প্রেসকাবের সভাপতি এইচ এম দুলাল। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাইমেট চেঞ্জ এ্যাকশন গ্রুপের উপজেলা সভাপতি সাংবাদিক মোঃ নূর আলম শেখ, মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ই¯্রাফিল হোসেন হাওলাদার, চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন, দাতা সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড’র প্রকল্প সমন্বয়কারি পলাশ কান্তি হালদার, কাইমেট চেঞ্জ এ্যাকশন গ্রুপের কমলা সরকার, কমিউনিটি রেজিলিয়েন্স এ্যাকশন গ্রুপের সুষ্মিতা মন্ডল। মূল প্রবন্ধের যেসব সুপারিশ করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে পুকুর খনন, পুনঃ খনন, সংরক্ষণ ও সংস্কার করতে হবে এবং পানি সংগ্রহের সনাতন পদ্ধতি বাতিল করে পুকুর পাড়ে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটাতে হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য জিও-এনজিও পর্যায়ে ট্যাংকি বিতরণ অব্যাহত এবং উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেন মন্ত্রী। এ্যাডভোকেসি সভায় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষক, কমিউনিটি রেজিলিয়েন্স এ্যাকশন গ্রুপের সদস্য, কাইমেট চেঞ্জ এ্যাকশন গ্রুপের সদস্য, সুশিল সমাজের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার শতাধিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত