রামপালে প্রতারণা করে ৪৪ লাখ টাকা উত্তোলন

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৬:৩১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৯৩২

রামপালে মোহেবুবুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারনা করে ক্ষতিপুরণ বাবদ প্রায় অর্ধ কোটি সরকারি টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের ধলদাহ গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানের পুত্র। প্রকৃত জমির মালিক মো. আযম আলী মোড়ল বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।


অভিযোগে জানাগেছে, রামপাল উপজেলার ফয়লাহাটের নির্মাণাধীন খান জাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণের জন্য চাচুড়ি মৌজায় ৬২৬ নং দাগের ৫৩ নং খতিয়ানে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখা এলএ কেস নং- ০৫/২০১৬-২০১৭ ফরম “গ” ৬ বিধি ৪ এর (১) নং উপ-বিধির ৭ ধারার প্রসেস নং-৬০২৫, তারিখ-২৭-০৬-২০১৮ মোতাবেক স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহন ও হুকুমদখল অধ্যাদেশ ১৯৮২ সালের ২ নং অধ্যাদেশ এর ৭ ধারার ৩ উপধারা নোটিশ প্রদান করে ভুমি অধিগ্রহন করা হয়। ওই ভুমির মালিক হিসাবে ধলদাহ গ্রামের মোহেবুবুল্লাহ ওই জমির মধ্য ঘরবাড়ি গাছপালা দেখিয়ে ক্ষতিপুরণ বাবদ ৪৪ লাখ ১ হাজার ৩৮২ টাকা ৫ পয়সা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।


অভিযোগকারী আযম আলী মোড়ল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ওই জমিতে মোহেবুবুল্লাহর কোন ঘরবাড়ি গাছপালা কিছুই নেই। ওই জমিতে রয়েছে আমার মৎস্য খামার ও ভেড়িবাধ। মোহেবুবুল্লাহ প্রতারনা করে ঘরবাড়ি গাছপালা দেখিয়ে ক্ষতিপুরণ বাবদ ৪৪ লাখ টাকা উত্তোলন করেছে। অথচ আমি কোন ক্ষতি পুরণের অর্থ পাইনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোহেবুবুল্লাহর সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি। নামপ্রকাশ না করে মোহেবুবুল্লাহর প্রতিবেশিরা বলেন টাকা উত্তোলন করে মোবাইল ফোন বন্ধ করে মোহেবুবুল্লাহ এখন গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। প্রায় লোকজন তাকে খুজতে আসে।


এ বিষয়ে বাগেরহাট এলএ শাখার একজন কর্মকর্তা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, জমি অধিগ্রহনের আগে জরিপ করে তারপর ক্ষতিপুরণের টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তি যদি প্রতারনার আশ্রয় নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত