মোংলা ইপিজেড কর্মকর্তা নারী নির্যাতন মামলায় জেল হাজতে

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৫:৫৭ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর ২০১৮ | ১২৮৪

মোংলা ইপিজেডের সাব-এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র ( ইলেট্্িরক্যাল) মোঃ হিজবুল বাহারকে (৩৮) নারী নির্যাতন মামলায় জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাদী পক্ষের আইনজীবী গোলাম মোর্তুজা সোহেল আহম্মদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


তিনি বলেন, প্রথম স্ত্রী সন্তানের কথা গোপন করে ভুল ঠিকানা দিয়ে মোংলা ইপিজেডের সাব-এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র ( ইলেট্্িরক্যাল) মোঃ হিজবুল বাহার খুলনা সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার মোঃ জিয়া উদ্দিনের মেয়ে মোসাঃ নুসরাত বাহারকে ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ বিয়ে করেন। কিছুদিন পর হিজবুল বাহার যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করেন। ২০১৮ সালের ১৬ মে মোসাঃ নুসরাত বাহারের মায়ের মৃত্যুর পর এই নির্যাতন আরো বেড়ে যায়। এবছরের ১১ জুন নুসরাত স্বামী হিজবুল বাহারের বাসায় গেলে তাকে যৌতুকের দাবীতে বেদম প্রহার করে।


পরে মোসাঃ নুসরাত বাহার বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসর্ম্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেয়।

মোসাঃ নুসরাত বাহার বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সকালে সাংবাদিকদের জানান, বিস্বস্থতার সুযোগ নিয়ে হিজবুল বাহার প্রতারণা করেছেন। বাগেরহাটের একটি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখার কথা বলে তার মায়ের মৃত্যুর আগে হিজবুল বাহার ২২ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে এই কথা অস্বীকার করছেন।


মোংলা ইপিজেড এর মহাব্যবস্থাপক জানান, ইপিজেডের সাব-এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র ( ইলেট্্িরক্যাল) মোঃ হিজবুল বাহার মাত্র একদিনের ছুটি নিয়েছিলেন। এখন তিনি কোথায় আছেন তা জানা নেই। তবে তিনি অফিসে আসলে অনুপস্থিতির কারণ দর্শনো হবে। তাছাড়া আদালতের কপি পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত