বাগেরহাট সদর হাসপাতাল

গাইনী চিকিৎসক মারলেন রোগী ও স্বজনকে

আলী আকবর টুটুল

আপডেট : ০৩:৫৯ পিএম, রোববার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ২০১৩

বাগেরহাট সদর হাসপাতালে গাইনী চিকিৎসকের হাতে রোগী ও স্বজনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার সকালে গাইনী ওয়ার্ডের দুই প্রসুতি রোগী ও এক রোগীর স্বজনকে মারধর করেছেন হাসপাতালের গাইনী কনসালটেন্ট ডা. আবুল কালাম আজাদ। এঘটনায় হাসপাতালের শীর্ষ কর্মকর্তা সিভিল সার্জন দু:খ প্রকাশ করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।


তবে ঘটনার পরপরই গাইনী কনসালটেন্ট ডা. আবুল কালাম আজাদ সিভিল সার্জন অফিসে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতাল ত্যাগ করেন বলে জানান হাসপাতালের কর্মরত নার্সরা।


মারধরের শিকার রোগীরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চমালা গ্রামের জাহিদুল বাবুর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৮), গাজীরঘাট গ্রামের আলম শেখের স্ত্রী রোজিনা বেগম (২০), এবং রজীনার মা (রোগীর স্বজন) নাছিমা বেগম (৪৫)।


মারধরের শিকার নাছিমা বেগম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, সন্তান প্রসবের জন্য রবিবার ভোরে বাড়ি থেকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে আমার মেয়েকে নিয়ে আসি । তখন ডাক্তাররা আমাদের ভর্তি করে নেন। পরে সকাল ১০টার দিকে ডাক্তার আবুল আজাদ আসেন নিয়মিত রাউন্ড দিতে। তখন আমার মেয়ের প্রসব বেদনা শুরু হয়। আমাকে মেয়ে জড়িয়ে ধরে ছিল। ডাক্তার সাহেব এসে আমাকে বের হতে বলেন। আমার বের হতে দেরী হলে আমাকে দুটি চর মারেন। আমি চর খেয়ে ঘুরে পড়ি। ডাক্তার সাহেব আমার মেয়ের চিকিৎসা না দিয়ে মেয়ের মাথার উপর থাপ্পর মারে।


সদ্য ভূমিষ্ট সন্তানের মা রোজিনা বেগম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে এসে মার খেলাম। এর থেকে কষ্টের আর কি আছে। আমরা এ ডাক্তারের বিচার চাই।


অপর রোগী ফাতেমা বেগম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, রোজিনাকে মারধর করে আমার বেডে আসেন। তখন আমাকে বলে এ তোর তো কাল যাওয়ার কথা, তুই যাসনি কেন। এ বলেই আমার মাথায় থাপ্পর দেয়।


গাইনি ওয়ার্ডের অন্য আরেক রোগী মাহিনুর বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন ডাক্তার এভাবে রোগীকে মারধর করে তা আগে কখনও দেখিনি। সকালে এ ডাক্তার মারলেন। এর আগে শনিবার রাতে আলট্রাসোনো করার সময় ডাক্তার আমার সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করেন। গাইনি ওয়ার্ডে একজন নারী চিকিৎসক দিলে এ ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যেত।


বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. অরুণ চন্দ্র মন্ডল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ঘটনার সময় আমি হাসপাতালে ছিলাম। খবর পেয়ে আমি ওয়ার্ড মাস্টারকে গাইনি ওয়ার্ডে পাঠাই। পরে মারধরের স্বীকার রোগীরা এসে আমার কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়ে উপস্থিত সকলের কথা শুনে সত্যতা পাই। আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। যত দ্রুত সম্ভব তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত