মোরেলগঞ্জ-শরণখোলায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি চরমে

মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কে তিন দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বাসযাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। একদিকে ঈদুল আযহা অপরদিকে এ সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ঈদের ঘরমুখো ও সাধারণ যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এ আঞ্চলিক মহাসড়কে বাস চাপায় একজন অটো ড্রাইভার নিহত হওয়ার পর থেকেই যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে মোরেলগঞ্জ নব্বইরশি বাস ষ্ট্যান্ড ফাঁকা। যাত্রীরা যে যার মত বিকল্প পরিবহনে যাবার জন্য তোড়জোড় করছে। মোটর ড্রাইভার, ভ্যান ড্রাইভার সহ বিভিন্ন বিকল্প যানবাহন চালকদের সাথে দর কষাকষি করছে। বাস চলাচল বন্ধ থাকার সুবাধে বিকল্প যানবাহন ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে দুই থেকে তিনগুন। অতিরিক্ত ভাড়ার কারনে অনেক নারী পুরুষ শিশুরা বাস ষ্ট্যান্ডে তীর্থের কাকের মত বসে আছে কখন বাস চলাচল করবে। বাস যাত্রী সোহবার হোসেন , শাবানা আকতার, শহিদুল ইসলাম ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবার জন্য নব্বইরশি বাসষ্ট্যান্ডে এসে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে হতাশা প্রকাশ করেছেন। অনেক যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মোটর ,ভ্যান সহ বিভিন্ন যানবাহনে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হচ্ছে।

মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি শামীম আহসান পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ আঞ্চলিক মহাসড়কে অবৈধ নসিমন করিমন সহ নানা অবৈধ যান চলাচল করার কারনে এ সড়কে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটছে। তারা এসব অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করে সড়ক দূর্ঘটনা নিয়ন্ত্রন করার আহবান জানান।

থানা অফিসার ইন চার্জ এমকে আজিজুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, বিষয়টি অতিসত্ত্বর নিরসনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।

মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কে শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় সড়ক দূর্ঘটনায় অটো ড্রাইভার ইউনুছ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে সুকুমার সিকদার, রাকিব হাওলাদার, জাকির হোসেন, বলরাম কীর্তনীয়া ও হাসান হাওলাদার। ঘটেছে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। এটাকে একটি পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করছে নিহতের পরিবার।