দুই শিক্ষকের বেতন স্থগিত

বাগেরহাটে ভুয়া সনদে চাকরি, একজনকে অব্যহতি

শেখ আহসানুল করিম

আপডেট : ০৫:২৯ পিএম, বুধবার, ১ আগস্ট ২০১৮ | ১৬১০

বাগেরহাট সদরের দশানী যদুনাথ মডেল স্কুল এন্ড কলেজে ভুয়া নিবন্ধন সনদে চাকুরী করা দুই শিক্ষকের বেতন-ভাতা স্থগিত ও অপর আরেক শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যহতি দিয়েছে কর্তৃপ। বুধবার বিকেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ স্বারিত এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের পৃথক চিঠি সংশ্লিষ্ট শিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।


দশানী যদুনাথ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের যে দুইজন শিক্ষকের বেতন-ভাতা স্থগিত ও অপর আরেক শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে তারা হলেন, সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার শিক্ষা) ডেইজী রানী বিশ্বাস ও ট্রেড ইন্সট্রাক্টর (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) গৌতম কুমার হালদার। তাদের পাঠানো ওই চিঠিতে নিবন্ধন সনদ সম্পর্কিত এনটিআরসিএ’র ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কিত স্মারক নম্বর উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি তারিখে সভার সিদ্ধান্তের আলোকে আপনার বেতন-ভাতা জুলাই/২০১৮ তারিখ থেকে পুনরায় স্থগিত করা হলো। আগামী নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটির সভায় ভুয়া সনদপত্র প্রদর্শন পূর্বক চাকুরী করার অপরাধে আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ এছাড়া অভিযুক্ত অপর খন্ডকালীন শিক (সামাজিক বিজ্ঞান) শিমুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যহতির সিদ্ধান্ত জানিয়ে পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গৌতম হালদার ২০১৩ সালের ১ আগস্ট, ডেইজি রানী ২০০৯ সালের ১ আগস্ট ও শিমুল আক্তার ২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর যদুনাথ স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন।


বাগেরহাট সদরের যদুনাথ স্কুল এন্ড কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সনদ সংগ্রহ করে চাকরি করছেন এমন অভিযোগে ২০১৭ সালে শুরুতে তদন্ত শুরু করেন প্রতিষ্ঠানের তৎকালিন সভাপতি বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোমিনুর রশিদ। এর প্রেেিত প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্য অজয় কুমার চক্রবর্ত্তী ২০১৭ সালে ৪ জুন এনটিআরসিএ কর্তৃপরে কাছে প্রতিষ্ঠানের সকল শিকের নিবন্ধন সনদ যাচাই-বাছাই এর জন্য পাঠান। ওই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর এনটিআরসিএ কর্তৃপ ‘বেশিনিক/শি.শি/সনদ যাচাই সকল/৭৮২/২০১৭/১৭’ নং স্মারকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান প্রধান অজয় কুমার চক্রবর্ত্তীর কাছে সনদ যাচাই তথ্য প্রদান করে। যাতে যদুনাথ স্কুল এন্ড কলেজে ২১ শিকের মধ্যে ৩ জনের সনদ সঠিক নয় বলে উল্লেখ করা হয়। একই সাথে ওই পত্রে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সনদ নিয়ে শিকতায় যুক্ত শিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়।


এনটিআরসিএ কর্তৃক সনদের বৈধতা না পাওয়া ওই তিনি শিক হলেন কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর গৌতম কুমার হালদার, সামাজিক বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষিকা শিমুল আক্তার, কম্পিটার শিার সহকারী শিক্ষক ডেইজী রানী বিশ্বাস। এছাড়া বিজ্ঞানে শিক্ষক রতনা রায়কে নিয়মবহিরভূত ভাবে এমপিও ভুক্ত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে এনটিআরসিএ।

বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিকদের পেশাজীবী সংগঠন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং যদুনাথ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্য অজয় কুমার চক্রবর্ত্তী বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি হজ্ব মিশনে দায়িত্ব পালনের জন্য বর্তমানে সৌদী আরবে আছেন। এখন দায়িত্বে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। সভাপতি দেশে এলে ম্যানেজিং কমিটির সভা করে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চাকরি থেকে অপসারণসহ আইনানুগ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই তিন শিক্ষকের মধ্যে দু’জন এমপিও’র বেতন-ভাতা পান। তাদের বেতন-ভাতা স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া খন্ডকালিক শিক্ষককে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত