ফোরলেন ব্রীজটির নির্মান কাজ শেষ

কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডে বিকল্প সড়ক খুলে দেওয়ার দাবী

পি কে অলোক.ফকিরহাট

আপডেট : ০৬:৫১ পিএম, মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই ২০১৮ | ৬৯১

ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডে সদ্য নির্মিতব্য ফোরলেন বিশিষ্ট ব্রীজটির নির্মান কাজ সমাপ্ত হলেও দুই পার্শ্বের বিকল্প সড়ক হিসাবে দেওয়া বাধঁ খুলে না দেওয়ায় স্বনির্ভর খালে বৃষ্টির পানি জমে তা বন্যার রুপ ধারন করার আশংকা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৭২টি গ্রামের বসবাস করা জনসাধানের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। তাদের ধারনা বাঁধ খুলে দেওয়া না হলে যদি অতিবর্ষন শুরু হয় তাহলে পানি নামতে না পেরে চরম বন্যার রুপ ধারন করে পানের বরজ জমির ফসল ঘর বাড়ি সব তলিয়ে গিয়ে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।


জানা গেছে, বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ খুলনা মংলা ও বাগেরহাট মহা-সড়কের কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডে স্বনির্ভর খালের উপর ফোরলেন বিশিষ্ট ১টি ব্রীজ নির্মান করেন। যার কাজ শেষে ব্রীজটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্রীজটি তৈরীর জন্য দুই পার্শ্বের বিকল্প সড়ক হিসাবে দেওয়া বাধঁ এখনো খুলে দেওয়া হচ্ছে না। যে কারণে প্রবল বর্ষনে জমে থাকা বৃষ্টির পানি না পারছে উপরে উঠতে আর না পারছে তা নিচে (নদীতে) নামতে। এঅবস্থায় জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হয়ে স্বনির্ভর খালে বৃষ্টির পানি জমে বন্যার রুপ ধারন করার আশংকা করছে স্থানীয়রা।

বালিয়াডাঙ্গা এলাকার রোস্তম শেখ, মুজিবুর রহমান, পিলজংগ এলাকার জয়দেব দে, শ্যামবাগাত গ্রামের খায়রুল আলম ও টাউন নওয়াপাড়া এলাকার মোশারেফ হোসেন সহ একাধিক ব্যাক্তিরা বলেছেন, অতিবৃষ্টি হলে এলাকায় বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। অতিদ্রুত দুই পার্শ্বের বিকল্প সড়ক হিসাবে দেওয়া বাধঁ খুলে দেওয়ার জন্য তারা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী আব্দুল গফ্ফার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ব্রীজটি সকল কাজ প্রায় শেষের পথে এখন অল্প কিছু কাজ বাকি রয়েছে যা শেষ হলেই বাঁধ খুলে দেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত