ফকিরহাটে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত নারীর পরিচয় মিলেছে আসামী গ্রেফতার

ফকিরহাট প্রতিনিধি

আপডেট : ০৬:৪৮ পিএম, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪ | ৩৬১

বাগেরহাটের ফকিরহাটের পিলজংগ ইউনয়িনের শ্যামবাগাত এলাকার একটি বাগান থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত পরিচয়ের নারীর মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। শনিবার (৬ জানুয়ারী) বিকেল ৪টায় পিবিআই এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


পিআইবি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে ফকিরহাট উপজেলার খুুলনা-মোংলা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে জয় জুট মিলের সামনে জনৈক মুরারী মোহন দেবনাথ এর বাগানের একটি গর্তে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ দেখে স্থানীয়রা ফকিরহাট থানাকে অবগত করেন।

খবর পেয়ে সহকারী পুুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশরাফুল আলমসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে অজ্ঞাত পরিচয়ের নারীর মরদেহ সনাক্ত করার জন্য বাগেরহাট জেলার পিবিআই এর পুলিশ সুপার আবদুর রহমানসহ একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করেন।

পরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ সনাক্ত করেন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জানা গেছে তিনি খুলনার দাকোপ উপজেলার কৈলাশগঞ্জের বারেক গাজীর মেয়ে হামিদা বেগম। এ ঘটনায় নিহতের বোন সালমা খাতুন নিজ বাদী হয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা নং-০৩ তারিখ-০৫/০১/২৪, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পিবিআই জানান, গত ৪ঠা জানুয়ারী হামিদা বেগম ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। নিহতের স্বামী ছানাউল্লাহ পাটোয়ারী মারা যাওয়ার পর ওই নারীর সাথে জনৈক রাজমিস্ত্রী মোঃ আমানুল্লাহ হোসেন এর সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে।

এরই সূত্র ধরে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পিবিআই পুলিশের একটি দল, রাজমিস্ত্রী মো. আমানুল্লাহ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী খুলনার কয়রা থানার চরকুশোডাঙ্গা গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে। তাকে রূপসার ইলাইপুর এলাকার একটি ভাড়াবাসা থেকে এদিন রাত পৌনে ১২টার দিকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

গ্রেপ্তারকৃত মো. আমানুল্লাহ হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করে জানান, হামিদা বেগমের গ্রামে রাজমিস্ত্রির কাজের সূত্রে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে তারা শরিয়া মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। হামিদা বেগম আসামীর সাথে সর্ম্পক রাখা ছাড়াও একাধিক লোকের সাথে তার অবৈধ সর্ম্পক গড়ে উঠে। অনেকবার বোঝানোর পরও হামিদা বেগম অবৈধ সর্ম্পক ছাড়তে পারেন না।

এরপর আসামী আমানুল্লাহ হোসেন গত ৪ঠা জানুয়ারী সুকৌশলে ১০টার দিকে ওই বাগানের ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। এসময় আসামী ভিকটিমের গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামী আমানুল্লাহ হোসেন জানায়, সে একাই উক্ত হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে। ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত