বাগেরহাটে মায়ের জমি চাওয়ায় ভাগ্নিকে মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

আপডেট : ১০:২৬ পিএম, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ২৫৬

বাগেরহাটের কচুয়ায় নানা বাড়িতে মায়ের জমি চাওয়ায় ফাতেমা বেগম (৪০) নামের এক নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মামা-মামি ও মামাতো ভাইয়ের মারধরে গুরুত্বর আহত ওই নারী বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মারধরকারীদের শাস্তি ও জমি ফেরত পেতে প্রশাসনের হেস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অসহায় এই নারী।


ফাতেমা বেগম কুচয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নের কলমিবুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল শেখ ও তাছলিমা বেগমের মেয়ে। ফাতেমা বেগম বলেন, আমার নানা নবির উদ্দিনের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। নানার রেখে যাওয়া জমি থেকে মুসলিম আইন অনুযায়ী আমার মা কিছু জমি পাবেন। মায়ের জমি বুঝে দেওয়ার জন্য বেশকিছুদিন আগে মামা ও মামাতো ভাইতের বলি। এরপর থেকে তারা আমাকে মেরে ফেলার জন্য হুমকী-ধামকী দেয়। গতকাল সোমবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় হঠাৎ করে আমার মামা রুস্তম মোল্লা, মামী হেলেনা বেগম, কাঞ্চন বেগম মামাতো ভাই মনিরুল মোল্লা ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগম আমাদের ঘরে ঢুকে আমাকে মারধর করে।

তাদের মারধরে আমার জ্ঞান হারালে, মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের মারে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। খুবই খারাপ অবস্থা, যারা আমাকে মেরেছে আমি তাদের বিচার চাই। সেই সাথে নানা বাড়িতে আমার মায়ের যে জমি রয়েছে তা ফিরে চাই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এই নারী।

অভিযুক্ত রুস্তম মোল্লা বলেন, আমি ও আমার ভাইপো মনিরুল মোল্লা ফাতেমাকে মারিনি। বাড়িতে কবুতর যাওয়ায় ফাতেমা গালিগালাজ করায় মনির স্ত্রী ও অন্যান্য নারীরা তাকে মারধর করেছে। এছাড়া জমির বিষয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে বসে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান তিনি। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিন হোসেন বলেন, মারধরের কথা শুনেছি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত