মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাজিকরখন্ড এলাকার নুর আলমের নয় বছরের এই শিশুর নাম মোঃ জিহাদ। তারই সফল অস্ত্রোপাচার সম্পর্কিত চিকিৎসা করা হয়।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহীন জানান, গত দুই সপ্তাহ আগে নয় বছরের এই শিশু জিহাদের পায়ের হাড় ভেঙে গেলে, তার বাবা তার কাছে নিয়ে আসে। শিশুটি হতদরিদ্র পরিবারের। তাকে প্রথমে প্লাস্টার করা হয়। সাতদিন পর ফলোআপে আসলে দেখা যায়, আবারও শিশুটির ডিসপ্লেস হয়ে গেছে।
পরে তিনি অসহায় এই শিশুর জন্য কিছু একটা করতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিশিষ্ট অর্থোপেডিক সার্জন বন্ধু ডা. রাজিব কুমার পালের সাথে আলাপ করেন। তার বন্ধু তাকে সে সময় জানায় অপারেশনের জিনিস পত্র ম্যানেজ করে দিলে, সে তার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটারে বিনা পারিশ্রমিকে শিশু জিহাদের অপারেশন করে দিবে। তাৎক্ষণিক সবকিছু ম্যানেজ করে ফেলেন ডাঃ শাহীন।
এরপর শুক্রবার দুপুরে তার বন্ধু ডাঃ রাজিব কুমার পালের নেতৃত্বে সেই শিশুটির সফল অপারেশন সম্পন্ন করা হয়। এ কাজে হাসপাতালের যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি ডাঃ শাহীন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ডাঃ শাহীন বলেন, চিকিৎসা দান দেখে মনে হতে পারে, খুব সহজ একটি কাজ। এটি যে কেউই করতে পারে, তবে এটা মোটেও সহজ কাজ নয়। প্রকৃত ডাক্তার একজন রোগীর দায়িত্ব নেন, কিন্তু সাধারণ ডাক্তার কখনই একটা রোগীর দায়িত্ব নেন না। ডাক্তার একটা রোগীর শেষ পর্যন্ত দেখেন যে, রোগটা কোন পর্যায়ে যাচ্ছে, ভাল হলেও তিনি শেখেন, খারাপ হলেও শেখেন। সেই উপলব্ধি থেকেই বড় এই অপারেশনের শেষ পর্যন্ত দেখেছেন তিনি।