সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় নতুন ৬ জলযান উদ্বোধন

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ১০:৫৭ পিএম, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৫৩৪

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুনব নাহার বলেছেন, আমি মোংলা-রামপাল বাগেরহাট-৩ আসনে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর যেহেতু বন আমার কাছে তাই প্রধানমন্ত্রী নিজেই আমাকে এ বনের দায়ীত্ব প্রদান করেছেন। তাই এ মন্ত্রণালয়ে শপথ নেয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী আমাকে বনের রানি বলে ডাকেন।

দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই অনুপ্রেরণায় সুন্দরবন শব্দটা আমার কানে আসলেই সাথে সাথে ছুটে যাই সেখানে। মোংলা-রামপাল আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি সুন্দরবন সুরক্ষা, বন ও বনের সকল সম্পদ রক্ষা, অপরাধ দমম সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে চলেছি। আর যতদিন বেচে থাকবো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তার অনুপ্রেরণায় কখনই ভুলবনা।


পুর্ব সুন্দরবনের চাদঁপাই রেঞ্জের বনের সম্পদ রক্ষায় পুর্বের জলযানের সাথে নতুন করে আরো ৬টি জলযান সংযুক্ত করা হলো। শনিবার সকাল ১১টার দিকে সুন্দরবনের নৌযান বহরে আবাসন সুযোগ- সুবিধা সম্পন্ন দুটি লঞ্চসহ ছয়টি অত্যাধুনিক জলযান। এর মধ্যে এম.ভি বন বিহারিনী আর সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের জন্য এম.ভি বনমালা লঞ্চ দুটি হস্তান্তর করা হয়েছে। হস্তান্তরের পর ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে এ লঞ্চ দুটির উদ্ধোধন করেণ পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি।


আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় মোংলার ফুয়েল জেটিতে লঞ্চ দুটি বনবিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর তিনি। পুর্ব সুন্দরবনের টহলরত অফিসগুলোর আশপাশে সকল ধরণের অপরাধ দমনে বনবিভাগের ‘স্মার্ট পেট্রোলিং’ টিমের জন্য দুটি ফাইবার বডি ট্রলার ও দুটি ওপেন টাইপ স্পিডবোট হস্তান্তর করেন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা সহায়তা (দ্বিতীয় পর্যায়ে) শীর্ষক কারিগরি প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হয় এসব জলযান।জলযান হস্তান্তর ও উদ্বোধনকালে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার আরও
বলেন, সুন্দরবন সুরক্ষা ও পর্যটকদের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা প্রদাণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও সুন্দরবনকে অনেক ভালবাসেন। তিনি বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের সুন্দরবন ও সুন্দরবনের সম্পদকে সকলের কাছে তুলে ধরেছে। যাতে পর্যটক এ সুন্দরবনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বিশ্বের সকল দেশের পর্যটক যেন বাংলাদেশের সুন্দরবনের সৌন্দার্য দেখতে আসে সে ব্যাপারেও নিরালস ভাবে কাজ করছে দেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১১ সাল থেকে সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় বনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি ও বনপ্রহরীদের জন্য আধুনিক জলযান তৈরি করা হয়েছে। পরে উপমন্ত্রী সুন্দরবনে যুক্ত হওয়া নতুন লঞ্চ বন বিহারিনীতে করে বনের করমজল ও ঢাংমারী যান। তিনি বনের অভ্যন্তরে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, সুন্দরবন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো, সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা সহায়তা দ্বিতীয় পর্যায় শীর্ষক কারিগরি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম এবং করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবিরসহ বন বিভাগের অন্যান্যরা সরকারী কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত