চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পরীক্ষার নামে কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৯:৩৫ পিএম, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩ | ৩৯২

প্রতিকী ছবি

ফকিরহাটে ডা. নাফিউল ইসলাম নামের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। পেটে ব্যাথা নিয়ে ফকিরহাট উপজেলার লাইফ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগণষ্টিক নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে গেলে ওই কিশোরীকে গর্ভবতী বলে রিপোর্ট প্রদান এবং ভয় দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয় দায়িত্বরত ওই চিকিৎসক এমন দাবি করেছেন কিশোরীর পরিবার। এ ঘটনায় সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে ওই কিশোরীর পরিবার ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।


এদিকে এ ঘটনায় ডা. নাফিউল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়েছে ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।


লিখিত অভিযোগ থেকে জানাযায়, পেটে ব্যাথা নিয়ে গত ১৯ জুলাই ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসক তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য বলেন। এসময় ওই কিশোরীর মা তাকে নিয়ে উপজেলা মোড়ে লাইফ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগণষ্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে যান। আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষে দায়িত্বে থাকা ডা. নাফিউল ইসলাম কিশোরীকে একা রেখে তার মাকে বের করে দেয়। এরপর আল্ট্রাসনোগ্রাম করার সময়ে ডা. নাফিউল ওই কিশোরীকে জানায় সে গর্ভবতী এবং কুপ্রস্তাব দিয়ে বলেন তাকে খুশি করলে গর্ভের সমস্যার সমাধান করে দিবেন। এসময় ওই চিকিৎসক কিশোরীর হাত ধরে জোর করে চুমু দেয়। ভয় পেয়ে কিশোরীটি আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষ থেকে দ্রুত বের হয়ে আসে। বিষয়টি কিশোরী তার অভিভাবকদের জানালে তারা পুনরায় ডিজিটাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগণষ্টিক সেন্টার নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন। সেখানে ওই কিশোরীর এপেন্ডিক্সের সমস্যা ধরা পড়ে। এছাড়া কিশোরীর দুটি রিপোর্ট ও পেটে ব্যাথার উপসর্গ দেখে চিকিৎসক তার এপেন্ডিক্স হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।


ফকিরহাটের লাইফ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগণষ্টিক সেন্টারের মালিক লিটন কুণ্ডু বলেন, ঘটনার পর ডা. নাফিউল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. নাফিউল ইসলাম বলেন, কিশোরীর আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ভুল করেছি। কিন্তু তার সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করিনি। তারা ভুল বুঝেছে।


ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএসএম মফিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে সিভিল সার্জন স্যারের নির্দেশে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত