টাকা লুট ও মালামাল ভাংচুর

পুর্ব শত্রুতার জেরে ব্যাবসায়ীকে মেরে রক্তাক্ত জখম

মাসুদ রানা

আপডেট : ১০:৪৫ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩ | ৪৩৫

রামপালে পুর্ব শত্রতার জের ধরে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও ব্যাবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হামলার ঘটনায় মোঃ মেহদী হাসান নামের এক ব্যাবসায়ী রক্তাক্ত জখম হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফয়লা বাজার জজ মার্কেটের ফুড এ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানীর গোডাউনে এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপাল থানায় অভিযোগ দাখিল করে ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।


পুলিশ, প্রতাক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীর ছোট ভাই হুমাইদি হাসান জানায়, আসামীদের সাথে পুর্বে তুচ্ছ একটি ঘটনা নিয়ে দীর্ঘদিন শত্রুতা চলে আসছিলো। ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ নুর আলম মোড়ল সহ একদল সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রস্বস্ত্রে সজ্জিত হইয়া ফয়লা বাজারস্থ জজ মার্কেটে আমাদের ফুট এ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানীর গোডাউনের অফিসে আসে। এসময় ১নং আসামী সহ অন্যান্য আসামীরা তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও হাতুড়ী দিয়া আমার ভাই মোঃ মেহেদী হাসান (৩০) কে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় ও সরিরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। আহতের আর্তচিৎকারে স্বজনরা ছুটে আসলে তাদেরকেও গালাগালি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। পরে তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাংচুর এবং গোডাউনের ক্যাশে ভেঙ্গে কয়েক লক্ষ টাকা লুট করে সন্ত্রাসীরা।

এছাড়াও গোডাউনের অফিসে থাকা একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার, ২টি স্মার্ট মোবাইল ফোন ও গোডাউনের অফিসে থাকা অন্যান্য মুল্যবান মালামাল ভাংচুর করে এবং গোডাউনে থাকা মালামাল নষ্ট করে। এতে প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা। পরে মেহেদী হাসানকে মেরে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায় ওই সকল সন্ত্রাসীরা। আমার ভাইয়ের ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থা অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

এঘটনায় ছোট ভাই হুমাইদি হাসান বাদী হয়ে রেজাউল মোড়ল এর ছেলে নুর আলম মোড়ল, মৃত ফরহাত শেখ এর ছেলে হায়াত আলী শেখ, মজনু হাওলাদারের ছেলে রমিম হাওলাদার, মিজান শেখ এর ছেলে মেছবাহ শেখ সহ অজ্ঞাত নানা আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।


রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সামছুদ্দিন জানান, ফয়লা বাজারে একটি মারামারীর ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে এবং একজন কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মেহদী হাসান নামের এক ব্যাবসায়কে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানায় থানার এ কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত