কৃষককুলের খুশির হাঁসি

বাগেরহাটের খাঁনপুরে বারি-১৪ সরিষার বাম্ফার ফলন

পি কে অলোক

আপডেট : ০৯:৫৬ পিএম, রোববার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩ | ৩৩৪

বাগেরহাট সদর উপজেলার খাঁনপুর ইউনিয়নে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুন জমিতে বারি-১৪ সরিষার বাম্ফার ফলন দেখা দেওয়ায় কৃষককুলের খুশির হাঁসি ফুটে উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং উপজেলা কৃষি অফিসের নানা ধরনের পরামর্শ ও সহযোগীতা করার কারনে বাম্ফার ফলন ফলানো সম্ভব হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে কৃষির উন্নতি বিষয়ে সরকারের যে মহতী উদ্যোগ তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

জানা গেছে, খাঁনপুর ইউনিয়নে যুগীডাঙ্গা গ্রামের চাষি রফিকুল ইসলাম মোড়ল তার নিজস্ব ২৫কাঠা জমিতে বারি-১৪ সরিষার চাষ শুরু করেন। প্রথম দিকে তার ইচ্ছা না থাকা সত্তেও তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে প্রনোদনা স্বরুপ ১কেজি বারি-১৪ সরিষার বীজ এনে তার নিজের জমিতে চাষ করেন। এর পর ১বার সেচ দিলে জমিতে চারা গজাই। এর পর তিনি স্বল্প পরিমানে সার প্রদান করেন। তিনি বলেন, স্বল্প খরচে অধিক ফসল পাওয়ার আশায় তিনি সরিষার চাষ করেছেন। তিনি বলেন মাত্র ৭৫/৮০দিনে এর ফসল ঘরে তোলা সম্ভব। বাম্ফার ফসল হওয়ায় তিনি খুশি।


এছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিলের দেবাশীষ কুমার নন্দী তার নিজস্ব ১৮কাঠা জমিতে, তাপস কুমার নন্দী ২০কাঠা জমিতে, পলাশ খাঁ ২০কাঠা জমিতে, হাফিজুর রহমান ১বিঘা জমিতে, বিল্লাল হোসেন ১বিঘা জমিতে ও প্রশান্ত কুমার দাশ দেড় বিঘা জমিতে বারি-১৪ সরিষার চাষ করেছেন। তারা বলেছেন, একই জমিতে বারবার একই ফসল বপন করলে জমির উর্বরতা কমে আসে। একারনে আমরা একই ফসল জমিতে বারবার না বপন করে অন্য ফসলের চাষ করে থাকি। তারা আরো বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বক্ষনিক তদারকির কারনে এটাঁ করা সম্ভব হচ্ছে। তারা আমাদেরকে বিনামূল্যে বীজ সার ও অন্যান্য সহযোগীতা করায় আমরা আগের চেয়ে এখন অনেক লাভবান হচ্ছি।


উপজেলা কৃষি অফিসের খানপুর ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিঠুন মল্লিক বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, আমার এই ব্লকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুন জমিতে বারি-১৪, বারি-১৭, বিনা-৯, বারি-১৮ সরিষার চাষ করা হয়েছে। এই ইউনিয়নে লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ১২হেক্টর। কিন্তু তার চেয়ে অধিক জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদিয়া সুলতানা বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, আমরা কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য তাদেরকে প্রনোদনা স্বরুপ বিনামূল্যে বীজ ও সারসহ বিভিন্ন প্রনোদনা প্রদান করছি। শুধু তাই নয়, তাদেরকে কৃষি বিষয়ে নানাধরনের প্রশিক্ষন ছাড়াও সব সময় তাদের পাশে থেকে কৃষি কাজ পর্যবেক্ষন করায় তারা ভাল ফসল উৎপাদন করতে পারছে। এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি কৃষকদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

এছাড়াও রাখালগাছি, যাত্রাপুর, কাড়াপাড়া, ষাটগুম্বজ, ফতেপুর, কুটাপাড়া ও বারুইপাড়া ইউনিয়নে অনুরুপ বাম্ফার ফলন ফলেছে বলেও তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত