মোংলা বন্দরে খালাস শুরু মেট্রোরেলের ১১ তম চালান
মাসুদ রানা,মোংলা
আপডেট : ০৭:৪১ পিএম, সোমবার, ২২ আগস্ট ২০২২ | ৩৯২
৮টি কোচ ও ৪টি ইঞ্জিন এবং ৩৪টি প্যাকেজ পণ্য নিয়ে মেট্রোরেলের আরও একটি চালান বোঝাই বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ এমভি হোসে ক্রাউন মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। জাপানের কোবে বন্দন থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি ২২ আগষ্ট সকাল সাড়ে ১০ টায় বন্দরের ৭নং জেটিতে নোঙ্গর করে। সোমবার সকালের পালা থেকে মেট্রোরেলের পণ্য গুলো খালাস কাজ শুরু করা হয়েছে। এ নিয়ে ১১ তম চালানে মোট ৭২ টি কোচ ও ৩৬টি ইঞ্জিন মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হলো।
আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান জানায়, ২৭ জুলাই জাপানের কোবে বন্দর থেকে ছেড়ে আসা মেট্রোরেলের জাহাজটি ৮টি কোচ ও ৪টি ইঞ্জিন ছাড়াও আরও ৩৪টি প্যাকেজে ২শ ৫১ মেট্রিক টন মেশিনারিজ পণ্য রয়েছে। ২২ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালের পালা থেকে মেট্রোরেলের এ সকল পণ্যগুলো খালাস কাজ শুরু করে শ্রমিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খুলনা ট্রেডার্স লিঃ। পানামা পতাকাবাহী বিদেশী বানিজ্যিক এ জাহাজটি এই প্রথম মোংলা সমুদ্র বন্দরে নোঙ্গর করে মেট্রোরেলের পণ্য এ বন্দরের জেটিতে খালাস করা হচ্ছে।
মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করা বিদেশী জাহাজটি থেকে এবারের চালানে মেট্রোরেলের পণ্যগুলো খালাস করতে সময় লাগবে মাত্র ২৪ ঘন্টা বলে জানায় জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কর্তৃপক্ষ। আর খালাস প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে জাপান ও মালয়েশিয়া সহ দেশীয় টেকনিশিয়ানদের সমন্নয় একটি দল উপস্থিত থেকে এ মেশিনারিজ পণ্য খালাস তদারকি করবে।
এর আগে গত জুলাই মাসে ১০ম চালানে মোট ৬৪টি কোচ ও ৩২ টি ইঞ্জিন মোংলা বন্দর থেকে খালাস হয়। আগামী মাসে আরও একটি চালান আসার কথা রয়েছে। এ পণ্যগুলো দেশী-বিদেশী টেকনিশিয়ান দল তদারকির মাধ্যমে ২টি বার্জে পণ্যগুলো ঢাকার দিয়াবাড়ী ডিপোতে পৌছে দিবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে কোচ বাহী বার্জ দুটি আগামী ২৮/৩০ আগষ্টের মধ্যে ঢাকার দিয়াবাড়ি ডিপোতে পৌছে যাবে বলে আসা করছে সংশ্লিষ্টরা। সেই ডিপোতে পরিক্ষা-নিরিক্ষা শেষে সংযুক্ত করা হবে নির্মানাধীন মেট্টোরেলের সাথে। চলতি বছরের মধ্যে মেট্রোরেলের বাকি ৪০টি কোচ ও ইঞ্জিন মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হওয়ার কথা রয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশে আমদানিকৃত মেট্রোরেলের এসব কোচ মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হওয়ায় বন্দরের সমতা বেড়েছে। শুধু মেট্রোরেলই নয়, এর আগে পদ্মা সেতু, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু রেল সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মালামাল ও যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হয়েছে। যা দক্ষ লোকের মাধ্যমে মালামাল গুলো জাহাজ থেকে বার্জে বোঝাই করে দেয়া হচ্ছে। বন্দরের বর্তমান চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তারা তাদের দক্ষ কার্যক্রসে মৃত্যু প্রায় বন্দরটি এখন দেশের একটি লাভ জনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের যেমন কর্মসংস্থার সৃষ্ট হয়েছে, পাশাপাশি বেড়েছে সরকারের রাজস্বও।
জাহাজটির শিপিং এজেন্ট এনশবয়েন্ট ষ্টিম শীপ কোস্পনী লিঃ এর জেনারেল ম্যানেজার মোঃ ওহিদুজ্জামান বলেন, এ পর্যন্ত ১১টি জাহাজে করে মেট্রোরেলের ইঞ্জিনসহ মোট ১০৮টি ইঞ্জিন এ বগি মোংলা বন্দর এসেছে। আগামী মাসে মেট্রোরেলের আরও একটি চালান মোংলা বন্দরে আসার কথা রয়েছে। সব মিলে চলতি বছরে মেট্রোরেলের আরও ৪০টি কোচ ও ইঞ্জিন আসবে এ বন্দরে।
মেট্রোরেলের নির্মান কাজ শেষ হলে প্রতি ঘন্টায় ৮০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে, ফলে ঘনবসতিপূর্ন ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিক ও যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখবে এ মেট্রোরেল।
