মোড়েলগঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে টাকা আত্নসাত

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৮:০৩ পিএম, শুক্রবার, ১৬ মার্চ ২০১৮ | ১৩৮৫

মোড়েলগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগের বিনিময়ে এলাকাবাসির নিকট থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জিউধরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আফজাল মোল্লার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এই চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। জিউধরা গ্রামের(৫নং ওয়ার্ড) প্রায় ৪শ’ গ্রাহকের নিকট থেকে ২ থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে তুলেছেন আফজাল মোল্লা।


টাকা না দিলে মিলবেনা বিদ্যুৎ সংযোগ এমন কথা বলে আদায় করা হয়েছে টাকা। বিভিন্ন দপ্তরের খরচের কথাও বলা হয়েছে। সর্বশেষ চাঁদার টাকা ধার্য করা হয়েছে স্থানীয় এমপি’র নামে। বলা হয়েছে, খুব শীঘ্রই লাইন উদ্বোধন করা হবে। ওই অনুষ্ঠানে এমপি ডা. মোজাম্মেল হোসেনকে ভাত খাওয়াতে গ্রাহক প্রতি ৩শ’ টাকা করে ধার্য করা হয়েছে।


ওই গ্রামে ঘুরে জানা গেছে, অন্যের বাড়িতে ঝি এর কাজ করে আফজাল মেম্বারের কাছে সাড়ে ৭ হাজার টাকা দিয়েছেন রাহিলা বেগম। বিধবা মরিয়ম বেগম দিয়েছেন সাড়ে ৭ হাজার, মর্জিনা বেগম ৭ হাজার ৭শ’, পিয়ারা বেগম ৭ হাজার ৭শ’, মান্নান হাওলাদার, মজিবর, শহিদুল, এমদাদুল, মোস্তফা গাজী, রিপন তালুকদার, সুলতান গাজী, ভদ্দর গাজী দিয়েছেন ৭ হাজার ৩শ’ টাকা করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম মল্লিকও ৭ হাজার ৬শ’ টাকা দিয়েছেন বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার আশায়। জলিল শরীফের ছেলে মিঠু শরীফ দিয়েছেন ২ হাজার টাকা।


বিদ্যুতের নামে এই চাঁদাবাজির বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগের নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ সঠিক। বিষয়টি উপজেলা পরিষদের আইন-শৃংখলা বিষয়ক সভায় আলোচনা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এর দায় নেবে না।


পল্লী বিদ্যুৎ মোড়েলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. জুলফিকার রহমান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, প্রায় ১ বছর পূর্বে ওই এলাকায় টাকা তোলা হয়েছে বলে শুনেছি। বর্তমানেও এমপির অনুষ্ঠানের নামে টাকা তোলার কথা শোনা যাচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, বিষয়টি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত আইন-শৃংখলা বিষয়ক সভায় ইউপি চেয়ারম্যান উত্থাপন করেছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য রেজুলেশন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে পাঠানো হবে।

বিদ্যুৎ সংযোগের নামে এই চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি আফজাল মেম্বার বলেন, ‘এই বিদ্যুতের লাইন আনতে আমার ব্যাক্তিগত ২/৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কারো নিকট থেকে টাকা নেওয়া হয়নি। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার’।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত