চিতলমারীতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

চিতলমারী প্রতিনিধি

আপডেট : ১২:৩৩ পিএম, শুক্রবার, ১২ আগস্ট ২০২২ | ৩৭৯

চিতলমারী জি বি ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) বেলা ১২ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে এ তদন্ত হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মাদ কামরুন্নেছা তদন্ত শুরু করেন।


এ সময় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ আনিচুর রহমান, প্রধান শিক্ষক কাজী আমিনুর ইসলাম ও অন্যান্য সদস্যসহ উভয় পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ওই স্কুলের অভিভাবক সৈয়দ মুফতি মেহেমুদ অবৈধ পরিচালনা কমিটির অভিযোগ তুলে কমিটি বাতিলের দাবীতে গত ১৩ জুলাই যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক বরাবরে একটি আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৬ জুলাই যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ডক্টর বিশ^াস শাহিন আহম্মদ অভিযোগের বিষয়ে অতিসত্ত¡র সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দেন।

অভিভাবক সৈয়দ মুফতি মেহেমুদ জানান, জি বি ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আমিনুর ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১ ফেব্রæয়ারী জি বি ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে দাতা সদস্য সৈয়দ আনিচুর রহমানকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। তিনি ভূয়া ও জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর পিতা মৃত সৈয়দ মুজিবুর রহমান ৩৩৯৭/১৯৮৪ নং দলিল মূলে জি বি ডি আবুল কাশেম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জমিদান করেন। সে জমি বড়বাড়িয়া মৌজায় ৩৫০ নং খতিয়ানে অর্ন্তভূক্ত। জি বি ডি (ঘোলা-বড়বাড়িয়া-দলুয়াগুনি) মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি বড়গুনি মৌজায় অবস্থিত। যার বর্তমান খতিয়ান নং-৮, এসএ খতিয়ান-৩৬০। সবচেয়ে বড় কথা বাস্তবে জি বি ডি আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয় নামে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই। এ ঘটনায় আগের অভিভাবক শ্রেণীর সদস্য সুজিৎ কুমার মন্ডল বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।


জি বি ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ শাহাজাহান ফকির জানান, সৈয়দ আনিচুর রহমানকে সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে দাতা সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে। সভাপতি তো পরের কথা।

জি বি ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আমিনুর ইসলাম জানান, সকল অভিভাবক সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সৈয়দ আনিচুর রহমানকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছিল।

জি বি ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ আনিচুর রহমান জানান, আমার বাবা জমিদান করেছেন। সেই হিসেবে আমি দাতা সদস্য এবং পরে সভাপতি নির্বাচিত হই।

তবে চিতলমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা মোছাম্মাদ কামরুনেছা বলেন, উপর মহলের নির্দেশক্রমে জি বি ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। সহজ কথা হলো বাবা ভূমিদাতা হলেও ছেলে দাতা সদস্য হতে পারবেন না। আমরা খুব শীঘ্রই মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিবো।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত