বিদ্যালয়ের গাছ ও পুরাতন ভবন বিক্রিতে অনিয়ম

মামুন আহমেদ

আপডেট : ০৭:৫৫ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২ | ৫৫৭

বাগেরহাট সদর উপজেলার ভট্টে-বালিয়াঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ ও পুরাতন ভবন বিক্রির ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনায় বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম ফকির অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাগেরহাট সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে তদন্ত শুরু করেছে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম ফকির বলেন, ২০১৮ সালের হিসেব মতে বিদ্যালয়ে ৫৫টি বিভিন্ন গাছ ছিল। কিন্তু নতুন ভবন নির্মানের জন্য বেশকিছু গাছ কাটার প্রয়োজন হয়। ওই গাছ গুলোর আনুমানিক মূল্য ছিল প্রায় ১৪ লাখ টাকা। এছাড়া পুরাতন বিদ্যালয় ভবনের ইট, রড ও শুড়কি ছিল যার আনুমানিক মূল্য ৫ লক্ষ টাকা। এসব গাছ ও ইট, রড ও শুড়কি বিক্রয়ের কোন হিসাব রেজুলেশনে উল্লেখ নাই। এক্ষেত্রে আমার কাছে মনে হয়েছে তৎকালীন কমিটির লোকজন এই সম্পদ বিক্রির ক্ষেত্রে গুরুত্বর অনিয়ম করেছেন। এজন্য আমি অভিযোগ দিয়েছি। তদন্তে যে অপরাধি হবেন তিনি শাস্তি ভোগ করবেন।


স্থানীয় ইউপি সদস্য বাপ্পি সাহা বলেন, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি আলিম চাকলাদার এই বিদ্যালয়ের অনেক সম্পদ তার ইচ্ছেমত ব্যবহার করেছেন। অনেক অনিয়মও করেছেন তিনি। আমরা সঠিক তদন্তপূর্বক গাছ ও ইট শুড়কির হিসেব চাই।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক জন বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ, ইট, শুড়কি ও রড এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রি করেছেন সভাপতি। এসব টাকা কি হয়েছে সে বিষয়ে আমাদের ধারণা নেই। তবে বিক্রি বাবদ বেশ টাকা আয় হয়েছে এটা আমরা জানি।


ভট্টে-বালিয়াঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিল্পি দাস বলেন, যখন গাছ কাটা হয়েছে, তখন আমি এখানে সহকারি শিক্ষক ছিলাম। তখনকার বিষয়ে আমার তেমন কিছু জানা নেই। তবে এ বিষয়ে কোন অনিয়ম দূূনীতি হলে ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।


বাগেরহাট সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মোস্তাকিন বিল্লাহ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। গাছ ও পুরাতন ইট রড বিক্রির ক্ষেত্রে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তৎকালীন কমিটির লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আরও তদন্ত শেষে বলা যাবে কি ধরণের অনিয়ম হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত