রামপালে শীল বংশের বারোয়ারি পুকুর দখল করে বালু ভরাট করছে প্রভাবশালীরা

এম, এ সবুর রানা, রামপাল

আপডেট : ০৭:৫০ পিএম, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২ | ৬৯৩

রামপালে সংখ্যালঘু শীল বংশের বারোয়ারি পুকুর জোরপূর্বক দখলে নিয়ে বালু ভরাট সহ নানা অত্যাচার করছে প্রভাবশালী প্রতিবেশীরা। প্রভাবশালীরা উপজেলা প্রশাসনকেও অগ্রাহ্য করছে বলে জানা গেছে। নিজেদের পৈত্রিক পুকুর ও জমি রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেও কার্যকরী প্রতিকার পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা ।
সমর শীলদের পরিবারের পক্ষ হতে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের সুপারিশ সহ একটি আবেদনপত্র বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিল করেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান গত ১৫-১২-২০২১ তারিখ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করেন। কিন্তু গত ৪ মাসেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে হতাশা প্রকাশ করেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগে ভুক্তভোগীরা উল্লেখ করেন, রামপালের শিবনগর গ্রামের সমর কুমার শীল গংয়েরা শিবনগর মৌজার জেএল ৫৭, এসএ ১১২ ও ৯১০ নং দাগের ৩১ শতাংশ জমিতে থাকা বারোয়ারি পুকুরটি প্রায় শত বছর ধরে ভোগদখল করে আসছেন। ওই পুকুরটি প্রতিবেশী আ. রশিদ শেখ ও বারিক শেখ নিজেদের দাবী করে একটি অংশ জোরপূর্বক ঘিরে বালু ভরাট শুরু করে। বাঁধা দিলে সমর শীলদের পরিবারের সদস্যদের কয়েক দফা মারপিট করে। ওই পুকুরের বিরোধ নিয়ে ৭/৮ বার স্থানীয়ভাবে জায়গা পরিমাপ করা হয় এবং সীমানা নির্ধারণ করে পিলার গেড়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মেপে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও প্রতিপক্ষ সেটি মানছে না। প্রতিকার চেয়ে আবেদন করার পরে দীর্ঘ সময় পার হলেও সমস্যার সমাধান মিলছে না বলে ভুক্তভোগীরা দাবী করেন।
তারা আরো বলেন, আমরা একই মৌজার আলাদা মানচিত্রের দাগ খতিয়ানে থাকি। অথচ প্রতিপক্ষ তাদের ভোগদখলীয় খতিয়ান ও দাগ উল্লেখ করে আমাদের বিবাদী করে হয়রানিমূলক মামলা করছে। তারা আমাদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারার মামলা করেছে এবং সেই মামলা অমান্য করে বারোয়ারি পুকুরের অংশ ভরাট করে আবার নতুন করে বালি ফেলছে। কলা কেটে নিয়ে গেছে। নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছে।
সংখ্যালঘু ওই শীল বংশের মানুষেরা মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের আ. রশিদ ও লিয়াকত শেখের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ওই পুকুরের মধ্যে আমাদের জমি আছে তাই আমরা বালি ফেলে পুকুর ভরাট করছি।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানান, শীল পরিবারের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। তাদের প্রতিপক্ষ রশিদ ও লিয়াকতকে ইতোপূর্বে দুই বার ডাকা হলেও তারা উপস্থিত হননি। তারা সময় ক্ষেপণ করছেন। আশা করি দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত