স্বামী-সন্তান হারিয়ে ভারসাম্যহীন, আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রুমানা

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা 

আপডেট : ১১:১৭ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২ | ৫৬৯

প্রতিকী ছবি

এক বছর আগে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন স্বামী শাকিল হাওলাদার। সেই থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েন রুমানা আক্তার বাপ্পি (১৯)। তার ছয় মাস বয়সের কোলের সন্তানটিও মারা যায় মাস ছয়েক আগে। একমাত্র সন্তানকে (কন্যা) হারানোর পর থেকে আরো ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রুমানাও।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ছোট নলবুনিয়া গ্রামে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে দাদি আলেয়া বেগমের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রুমানা নলবুনিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী জাহাঙ্গীর মাঝির মেয়ে।


স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হারুন অর রশিদ জানান, দুই বছর আগে রুমানার বিয়ে হয় ছোট নলবুনিয়া গ্রামের হালিম হাওলাদারের ছেলে শাকিলের সঙ্গে। বিয়ের এক বছরের মাথায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে শাকিল। স্বামীর মৃত্যুর পর রুমানার কোলজুড়ে আসে একটি কন্যা সন্তান। সেও মারা যায় ছয় মাস আগে। স্বামী ও সন্তান হারানোয় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে রুমানা।


ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ আরো জানান, বাবা জাহাঙ্গীর মাঝি কয়েক বছর ধরে সৌদিতে থাকেন। মা সাথী বেগমের সঙ্গেও তার বাবার বিচ্ছেদ হয়েছে বছর দুয়েক আগে। বিচ্ছেদের পর মা সাথী বেগম তার বাবার বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়াতে থাকেন। একমাত্র মেয়েরও তেমন খোঁজখবর নেন না তিনি। মা থেকেও নেই এবং স্বামী ও সন্তানকে হারিয়ে নিরুপায় রুমানা থাকতো দাদি আলেয়া বেগমরে সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত সেই দাদির বাড়ির বসত ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে সে।


শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত