আট নাবিক জীবিত উদ্ধার

পশুর নদীতে কয়লা নিয়ে লাইটার জাহাজ ডুবি

মাসুদ রানা, মোংলা 

আপডেট : ০৯:৫৪ এএম, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২ | ৪০৫

মোংলা বন্দরে ডুবোচরে ধাক্কা লেগে কয়লা নিয়ে ডুবে গেছে “এম ভি নাওমী” নামে একটি লাইটার জাহাজ। বৃহস্পতিবার বন্দরের পশুর নদীতে তলে ফেটে ছয়’শ টন কয়লা ডুবে যায় জাহাজটি। তবে এঘটনায় দুই নিরাপত্তা কর্মিসহ জাহাজের আট নাবিক নিরাপদে তীরে উঠে যাওয়ায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন মোঃ শাহাদাত হোসেন শ্রক্রবার (৪ মার্চ) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।


ক্যাপ্টেন শাহাদাত আরও বলেন, লাইটার জাহাজ দূর্ঘটনায় শুক্রবার তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখেছেন-পশুর নদীর মূল নৌ চ্যানেলের বাইরে দূর্ঘটনা ঘটায় পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে বন্দরের পশুর চ্যানেল। আগামী তিনদিনের মধ্যে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ থেকে কয়লা অপসারন এবং ১৫ দিনের মধ্যে ওই জাহাজটি উত্তোলন করতে মালিকপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

দূর্ঘটনায় কবলিত “এম ভি নাওমী” লাইটার জাহাজের মাষ্টার মোঃ আজিজুল হক শুক্রবার (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টায় বলেন, মোংলা বন্দরের হাড়বারিয়া ৫ নম্বর বয়ায় অবস্থান করা বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ “সিএমভি জর্দান” থেকে গত বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) তাদের লাইটার জাহাজ “এমভি নওমী” ৬০০ টন কয়লা বোঝাই করে চার নম্বর বয়ার কাছাকাছি আসলে ডুবন্ত রেকের সাথে ধাক্কা লেগে তলা ফেটে ইঞ্জিন রুমে পানি ঢুকে ডুবতে থাকে। এসময় অন্য লাইটার জাহাজের সহায়তায় দুই নিরাপত্তা কর্মিসহ ‘এমভি নওমী’র আট নাবিক কুলে উঠতে সক্ষম হন। পরে তারা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দূর্ঘটনার খবর জানায়। এ ঘটনায় শুক্রবার (৪মার্চ) সন্ধ্যায় মোংলা থানায় জিডি (সাধারণ ডাইরী) করেছেন তিনি।

এদিকে ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর পশুর নদীতে কয়লা নিয়ে ডুবে যায় এম ভি ফারদিন-১ নামে আরও একটি লাইটার জাহাজ। তবে এরই মধ্যে সেটি উত্তোলন করা হয়েছে বলে দাবী বন্দর কর্তৃপক্ষের।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত