প্লাস্টিক দূষণের কবলে বাগেরহাটের চার নদী

কপিল ঘোষ

আপডেট : ০৭:২২ পিএম, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১ | ৬১৮

যত্রতত্র প্লাস্টিকসামগ্রী ফেলার কারণে মারাত্মক দূষণের কবলে পড়েছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের চিতলমারী ও কচুয়া উপজেলার চার নদী।

উপকূলীয় অঞ্চলে একবার ব্যবহারযোগ্য (ওয়ানটাইম) প্লাস্টিকসামগ্রী ব্যবহার বন্ধে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এসব প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহারের পর তা ফেলা হচ্ছে নদীতে। ফলে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, চিতলমারীর মরা চিত্রা, মধুমতী ও বলেশ্বর নদ এবং কচুয়া উপজেলার ভৈরব নদে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের থালা, গ্লাস, খাবারের প্যাকেটসহ নানা দ্রব্য ফেলে নদী ও আশপাশের পরিবেশ দূষিত করা হচ্ছে। নদী থেকে ভেসে আসা কচুরিপানার ফাঁকে এসব প্লাস্টিকদ্রব্য আটকে থাকছে। এতে নদীস্রোতের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

চিতলমারীর উন্নয়নকর্মী নাহিদা ইয়াসমিনসহ অনেকে জানান, চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে তিনটি নদী। এসব নদীতে প্লাস্টিকদ্রব্য ফেলার কারণে তা ভেসে ভেসে কচুরিপানার ফাঁকে জমতে থাকে। এসব দ্রব্য নদীর বিরাট অংশজুড়ে আটকে থাকে। এতে নৌযান চলাচল বিঘ্নিত হয়।

কচুয়া সদরের বাসিন্দা ও বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান খোন্দকার নিয়াজ ইকবাল বলেন, ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতিসহ (বেলা) ১১টি সংগঠনের পক্ষে উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন করা হয়। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এক বছরের মধ্যে দেশের সব উপকূলীয় অঞ্চল ও হোটেল-মোটেল-রেস্টুরেন্টে ওয়ানটাইম প্লস্টিকসামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

কচুয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি তুষার রায় রনি বলেন, ‘প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেই আইন কেউ মানে না। কচুয়া উপজেলা সদরের ভৈরব নদে প্লাস্টিক আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সবার সচেতনতা দরকার।’

বাগেরহাট জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, পরিবেশ আইন-২০১০ অনুযায়ী, আদালত দূষণকারীকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারবেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত