ফকিরহাটে বেশ কয়েকটি বিলে চলতি ইরি-বোরো আবাদে বাম্ফার ফসল: কৃষকের মুখে খুশির হাঁসি

পি কে অলোক,ফকিরহাট

আপডেট : ০৭:৩৭ পিএম, সোমবার, ১৬ আগস্ট ২০২১ | ৫৮৩

ফকিরহাটে বেশ কয়েকটি বিলে চলতি ইরি-বোরো আবাদে বাম্ফার ফসল ফলতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে কৃষকের ধান ঘরে তুলতে কোন অসুবিধা হবে না। কৃষি অফিসের অক্লান্ত পরিশ্রম ও পরামর্শ এবং কৃষকদের মাঝে বীজ সার সহ নানা উপকরণ বিতরন করার কারনে বাম্ফার ফসল হয়েছে।


জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস হাটে মাঠে ঘাটে এসে তাদের হাতে কলমে স্থানীয় কৃষকদের নানা প্রকার পরামর্শ দেওয়া সহ বীজ সার ও বিভিন্ন প্রকার উপকরণ সামগ্রী বিতরন করে আসছেন। যার ফলে স্থানীয় কৃষকরা উদ্ভুদ্ধ হয়ে যার যে টুকু জায়গা আছে সেই জায়গা টুকু ফেলে না রেখে তারা ফসল ফলাবার জন্য নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। এ অবস্থায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের হাজার হাজার কৃষক আজ বেশ স্বাবলম্বি হয়েছেন। আর স্বাবলম্বি হয়েছেন বলেই আজ তারা করোনা পরিস্থিতি সহজেই মোকাবেলা করতে পেরেছেন।

সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, মানসা-বাহিরদিয়া ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া বিল,নান্দোর বিল, গোয়ালের বিল, বড়বাড়িয়া বিল সহ বেশ কয়েকটি বিলে চলতি ইরি-বোরো ধানের আবাদ করেছে। চারপার্শ্বে শুধু সবুজ আর সবুজে মন প্রাণ ভরে যায়। নান্দোর বিলের কৃষক আলীউল মোড়ল, অলিউর মোড়ল, বলাই চন্দ্র শীল, শিবপদ শীল, আব্দুর রাজ্জাক, শফিকুল মোড়ল, মহসিন শেখ ও নাজিম উদ্দিন শেখ সহ বিভিন্ন কৃষকরা জানান, তাদের বিলে আগে একবার এর বেশি ধান ফলানো সম্ভব হতোনা। কারণ বর্ষা মৌসুম আসলে বৃষ্টির পানির কারনে বিলে পানি ভরে যেতো। যার কারনে তারা প্রায় ১যুগেরও বেশি সময় ঐ বিলে ধান রোপন করতে পারতোনা। আর না পারার কারনে তারা দুর্বিসহ জীবন যাপন করতো। সেই দুঃখ দুর্দশা দেখে মানসা-বাহিরদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা মোঃ রেজাউল করিম ফকির দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করেন। তিনি নান্দোর বিলের পানি যাতে সহজেই নদীতে নামতে পারে সে জন্য তিনি বৃহৎ আকারের ১টি ড্রেন নির্মাণ করেন। আর এই ড্রেন নির্মান করার পর হতে এ অঞ্চলের শতশত কৃষক দ্বিতীয় ব্লক করতে পারছেন।


কৃষকরা বলেছেন, ড্রেন নির্মান করার পর হতে তারা বছরে দুইবার ধান রোপন করছেন। তাতে করে তাদের গোলায় এখন ধান তুলতে পারছেন। তারা বাকি অন্যান্য বিল গুলি হতে যাহাতে সহজেই পানি নিষ্কাশন করা যায় সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার দেব দাশ বালা ও উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ নাছরুল মিল্লাত বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন,আমরা করোনা কালিন সময়ে যাহাতে কোন কৃষক কর্মহীন হয়ে না পড়েন সে জন্য কৃষকদেরকে হাতে কলমে নানা প্রকার প্রশিক্ষন দেওয়া সহ তাদেরকে বীজ সার কীটনাশক প্রদান করে আসছি। যার ফলে কৃষকরা তাতে আরো উদ্ভুদ্ধ হয়ে তাদের নিজনিজ জমি ফেলে না রেখে তাতে ধান সহ অন্যান্য ফসল ফলাচ্ছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত